Skip to main content

পবিত্র শবেবরাত: ইবাদত-বন্দেগি ও তওবার রাত | করণীয় ও বর্জনীয়



পবিত্র শবেবরাত: ইবাদত-বন্দেগি ও তওবার রাত | করণীয় ও বর্জনীয়

শাবান মাস বরকতময় একটি মাস। এ মাসকে রমজানের মুয়াজ্জিন হিসেবে অভিহিত করা হয়। সালাত আদায়ের জন্য মুয়াজ্জিন যেমন ডাক দেন তেমনি মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার জন্য মুমিনদের প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দেয় এই মাস।

শবে বরাতের শব্দের অর্থ কি?

 শবেবরাত শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ থেকে। আর “শবে” শব্দের অর্থ “রাত” এবং ”বরাত” শব্দের অর্থ “মুক্তি”। অর্থাৎ “শবে বরাত” এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে “মুক্তির রাত”। শবে বরাতকে আরবিতে লাইলাতুল বারাআত বলা হয়।

পবিত্র শবেবরাত

মুসলিম জীবনে শবে বরাত অন্যতম একটি মহিমান্বিত দিন। শব ফার্সি শব্দ। এর অর্থ রাত্রি। বরাত আরবি শব্দ। এর অর্থ মুক্তি। তাই শবেবরাত অর্থ মুক্তির রজনী। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে (১৫তম রজনীকে) শবেবরাত বলে। আবার একে অনেকে লাইলাতুল বরাতও বলে থাকেন। যার শাব্দিক অর্থ- মাগফিরাত বা মুক্তির রাত।বিশ্বাস করা হয়, এই রাতে মানুষের ভাগ্য যেমন নির্ধারণ করা হয়, তেমনি পাপ থেকে নিষ্কৃতির সুযোগ পাওয়া যায়।

শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফজিলত

কুরআনের আলোকে শবেবরাত

পবিত্র কুরআনের একটি সূরায় লাইলাতুল মোবারাকাহ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়, যাতে বলা হয়েছে এটা সে রাত যাতে প্রতিটি বিষয়ের বিজ্ঞতাপূর্ণ ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ করা হয়। (সূরা দুখান, আয়াত ৩ ও ৪ )। কোনো কোনো তাফসিরকারক এ আয়াতকে উদ্ধৃত করে সেটাকেই শবেবরাত বলে অভিমত দিয়েছেন।

ইবনে কাসির তার তাফসির গ্রন্থে এবং ইবনুল আরাবি তার আহকামুল কুরআনে ওই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, মধ্য শাবানের রাতে ভাগ্যের ফয়সালা হয়ে থাকে। অন্য দিকে হজরত ইবনে আব্বাস (রা), ইবনুল উমার (রা), মুজাহিদ (রা:) কাতাদা (রা:), হাসান বসরী (রা:)-সহ বেশির ভাগ প্রসিদ্ধ তাফসিরবিদও লাইলাতুল মুবারাকাহ বলতে লাইলাতুল কদরকে আখ্যায়িত করেছেন, যা রমজান মাসে আসে।

হাদীসের আলোকে শবেবরাত

এই পুণ্যময় রজনীর ফজিলত ও তাৎপর্য বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তবে শবেবরাত সম্পর্কিত হাদিসগুলোর বর্ণনাকারী দুর্বল বলে অনেকে মত দিয়েছেন। নিম্নে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।

হজরত আয়শা (রা.) বলেন, এক রাতে আমি রসুলুল্লাহকে খুঁজে পেলাম না। তখন বের হয়ে দেখি তিনি বাক্বীতে (আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে) রয়েছেন। তিনি (রাসূল সাঃ)বললেন, তুমি কি আশঙ্কা করছিলে যে, আল্লাহ ও তাঁর রসুল তোমার ওপর অবিচার করবেন! আমি বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি আপনার অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন। তখন তিনি বললেন, মহিমান্বিত পরাক্রান্ত আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং ‘কালব’ গোত্রের মেষপালের পশমের অধিক সংখ্যককে ক্ষমা করেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

হজরত আলী (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, যখন শাবান মাসের ১৫তম রজনী আসে তোমরা রাত্রিতে নামাজ পড় এবং দিনে রোজা রাখ। কারণ আল্লাহতায়ালা সেদিন সূর্যাস্তরে সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আসমানে আসেন এবং বলতে থাকেন, কেউ আছে কি গুনাহ মাফ চাইবে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দেব। কেউ আছে কি রিজিক চাইবে, আমি তাকে রিজিক দান করব। কেউ কি অসুস্থ, আমি তাকে সুস্থ করে দেব। মহান রাব্বুল আলামিন এভাবে ডাকতে থাকেন ভোর পর্যন্ত, ইবনে মাজাহ।

অপর হাদিসে এরশাদ হচ্ছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একদিন রসুল (সা.) বললেন, হে আয়েশা! এ রাতে কী হয় জানো? হজরত আয়েশা পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ইয়া রসুলাল্লাহ এ রাতে কী হয়? রসুল (সা.) বললেন, এ রাতে আগামী বছর যত শিশু জন্ম নেবে এবং যত লোক মারা যাবে তাদের তালিকা করা হয়। মানুষের বিগত বছরের সব আমল মহান আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং এ রাতে মানুষের রিজিক অবতীর্ণ হয় (মিশকাত)।

হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, রসুল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহপাক শাবান মাসের ১৫তম রজনীতে সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রতি মনোযোগ দেন। অতঃপর সবাইকে ক্ষমা করে দেন দুই ব্যক্তি ছাড়া। তারা হলো, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরিককারী, (২) হিংসুক। ইবনে মাজাহ।

হজরত উসমান ইবনে আবিল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ): ‘যখন মধ্য শাবানের রাত আগমন করে তখন একজন আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে, কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোনো যাচনাকারী আছে কি? আমি তাকে দান করব। ব্যভিচারিণী ও শিরকে জড়িত ব্যতীত যত লোক যা কিছু চাইবে সবাইকে তাদের প্রার্থনা পূরণ করে দেওয়া হবে। (বায়হাকি)

নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে থাকবে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে। ১. জিলহজের অষ্টম রাত। ২. জিলহজের নবম রাত। ৩. ঈদুল আজহার রাত। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত। ৫. শাবানের ১৫ তারিখের রাত। (আত্তারগিব ওয়াত্তারহিব)

শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত 

শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো নামাজ কোরআনে বা হাদিসে উল্লেখ নেই। তবে হাদিসে আছে, রাসূল (সা.)বলেন, যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল নামাজ পড়বে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। এটি ইবনে মাজাহ শরিফের ১৩৮৪ নম্বর হাদিস।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে শবে বরাতের নামাজের নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। আপনি যত খুশি রাকাত নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু শবে বরাতের যে নামাজ পড়বেন তা অবশ্যই নফল হিসেবে গণ্য হবে। শবে বরাতের দিনে নফল নামাজ পড়া উচিত যেমন আপনি সাধারণত নফল নামাজ করেন।

শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়। তবে তিনি যত বেশি নফল নামাজ পড়বেন, তত বেশি সওয়াব হবে। শবে বরাতের নফল নামাজের প্রতিটি রাকাতে সূরা ইখলাস, সূরা কদর, আয়াতুল কুরাছি বা সূরা তাকাসুর ইত্যাদির সাথে সূরা ফাতিহা পাঠ করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।

শবে বরাতের নফল সালাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন শা'বান মাসের মধ্য দিন অর্থাৎ শা'বান মাসের তিথি আসবে তখন তোমরা নফল সালাত আদায় করবে। রাতে নফল ইবাদতএবং দিনে রোযা। (ইবনে মাজাহ)।

রাতের ইবাদতের জন্য নামাজই সর্বোত্তম। আর নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম নফল নামাজ। আর এই সকল নামাযের মধ্যে রয়েছে মাগরিবের পর ৬ থেকে ২০ রাকাত আওয়াবীনের নামায।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাযের পর ছয় রাকাত নফল নামায পড়ে এবং এর মধ্যে কোনো মন্দ কথা না বলে, তাহলে এই নামাযটি ১২ বছরের ইবাদতের সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ২০ রাকাত নামাজ পড়বে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। (তিরমিযী, মিশকাত, ফয়জুল কালাম, হাদীস- ৪৪৯-৪৫০)।

লাইলাতুল বরাত/ শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

লাইলাতুল বরাত/ শবে বরাতের নামাজে কি বলে নিয়ত করবেন? নামাজ পড়তে হলে আপনাকে অবশ্যই মনে মনে নিয়ত করতে হবে। এখানে লাইলাতুল বরাত/ শবে বরাতের নামাজের নিয়ত করার দুইটি মাধ্যম বাংলা ও আরবি তুলে ধরেছি। 

বাংলা নিয়ত

শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর

আরবি নিয়ত

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

পাক–ভারত উপমহাদেশে শবেবরাত

পাক-ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে (১৫ শাবান) শবেবরাত পালন করা হয়। তবে সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমরা শবেবরাত পালন করেন না। কারণ শবেবরাতের ব্যাপারে অকাট্য কোন দলিল নেই।

শবেবরাতে বিদআত

অনেকে ধর্মীয় বিধান মনে করে গরিবদের মধ্যে হালুয়া-রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি বিতরণ করেন। শবেবরাত উপলক্ষ্যে হালুয়া-রুটি খাওয়া এবং তা দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা ধর্মীয় বিধান নয়। এ প্রথা চালু হয় বৃটিশ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে। তখন উপমহাদেশের আলেমগণ দেখলেন, হিন্দুরা বিভিন্ন ধরনের পূজা-পার্বন এবং আনন্দ-উৎসব করে থাকে। মুসলমানরা সেদিকে ঝুঁকছে। সাধারণ মুসলিমদের দৃষ্টি ফেরাতে আলেমগণ শবেবরাতে রুটি-হালুয়া চালু করেন।

কেউ কেউ শবেবরাতের রাতে বাড়িতে বা কবরে আলোকসজ্জার আয়োজন করেন। আবার শহরাঞ্চলে শবেবরাতের রাতে কিশোররা পটকা ফোটায়, যা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক এবং বেআইনি। আলোকসজ্জা এবং পটকা ফোটানো অপচয় এবং শয়তানী কাজ, যা রীতিমতো ইসলাম বিরোধী।

কট্রর পন্থী

কেউ কেউ শবেবরাতের ইবাদতকে বিদআত বলেন। আবার অনেকে এ রাতের ইবাদত বন্দেগীকে ফরজ বা বাধ্যতামূলক ইবাদত মনে করেন। উভয় দলই কট্রর পন্থী।

এ ক্ষেত্রে আমি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করি। আমি এ রাতে ইবাদত করি, নফল ইবাদত। এ রাতের ইবাদতকে বিদআত মনে করি না, আবার ফরজও মনে করি না। রুটি-হালুয়া খাই, তবে ধর্মীয় বিধান মনে করি না।

 শবে বরাতে আমাদের করণীয়

আমাদের উচিত পবিত্র শবেবরাতে রাত জেগে এবাদত করা অর্থাৎ সারা রাত বিভিন্ন নেক আমল করে কাটিয়ে দেওয়া। জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, নফল নামাজ পড়া, দোয়া, দুরুদ, তাওবা ইস্তেগফার ইত্যাদি। যেসব আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে তাদের কবর জিয়ারত করা। নিজের কৃত গুনাহগুলোর কথা স্মরণ করে মহান পরওয়ারদেগারের দরবারে কান্নাকাটি করা। ভোর রাতে সেহেরি খেয়ে পর দিন রোজা রাখা। যেহেতু শবেবরাতের ইবাদত নফল, সেহেতু মসজিদের বদলে ঘরে আদায় করা উত্তম।

আমাদের আবশ্যকীয় করণীয় হলো এই রাতে আমরা বেশি বেশি ইস্তেকফার করবো। যাতে করে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দেন এবং বেশি বেশি নফল ইবাদতে মশগুল থাকবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন (আমিন)।

শেষ কথা- পবিত্র শবেবরাত: ইবাদত-বন্দেগি ও তওবার রাত | করণীয় ও বর্জনীয়

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দিবাগত রাতে 'নফল ইবাদত-বন্দেগির'-এর মাধ্যমে পবিত্র শবে বরাত পালন করেন। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ সৌভাগ্যের রাত। এই মহিমান্বিত রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।



Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ