techowe.com https://www.techowe.com/2022/11/blog-post.html

বিশ্ব ইজতেমা

ইজতেমা' একটি আরবি শব্দ যার অর্থ সমাবেশ, সভা বা সম্মেলন। 'বিশ্ব ইজতেমা' শব্দটি বাংলা ও আরবি শব্দের সংমিশ্রণ।

প্রতিবছর তাবলিগ জামায়াতের উদ্যোগে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। লাখ লাখ মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরলস প্রয়াস রাখছে তাবলিগ জামায়াত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান যোগ দিচ্ছেন বিশ্ব ইজতেমায়।

২০১১সাল থেকে স্থানের স্বল্পতা এবং জনসমাগম বিবেচনা করে দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায় মাত্র ৩২টি জেলার মুসল্লিরা।

তাবলিগ আরবি শব্দ। এর অর্থ প্রচার করা। দীনহারা মানুষকে ইসলামের দিকে আসার আহ্বান জানানোকে তাবলিগ বলা হয়। হযরত আদম (আঃ) থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণের প্রধান কাজ ছিলো তাবলীগ। শেষ নবীর পরে তাবলীগের কাজ করছেন ওলী-আউলিয়াহ, পীর-মাশাহেক এবং আলেম সমাজ।

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় তাবলিগের প্রবর্তন করেন। মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে তাবলিগ জামাতের মেহনত শুরু করেন। আল্লাহ তার এই মেহনতকে কবুল করেছেন বিধায় তাবলিগের আলো সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লির সমাবেশ হয়। সাধারণত তাবলিগের অংশগ্রহণকারীরা সর্বনিম্ন তিন দিন আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজের কাটানোর নিয়ত করেন। সে হিসেবে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তিনদিনব্যাপী। ………….

ব্রিটিশ কু-শাসনের ফলে এই উপমহাদেশের অশিক্ষিত-স্বল্প শিক্ষিত মুসলমানরা বিদআত, শিরক এবং কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক মুসলমান হিন্দুদের নামে নাম রাখে এবং নামের শুরুতে শ্রী ব্যবহার করে। এই পথভ্রষ্ট মুসলমানদেরকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মের পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন ও কালেমার মর্ম শিক্ষাদান করার লক্ষ্যে মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) তাবলীগ শুরু করেন। তাবলিগ যে ছয়টি মূলনীতিকে সামনে রেখে কাজ করে সেগুলো হলো- ১. কালেমা ২. নামাজ ৩. ইলম ও জিকির ৪.ইকরামুল মুসলিমিন ৫. সহিহ নিয়ত ৬. দাওয়াত ও তাবলিগ।

তাবলীগ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বক্তব্য:

  • “হে নবী, আপনি মানুষকে আপনার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করুন, হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করুন উত্তম পন্থায়।” (সূরা নাহল-১২৫)।

  • “তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক থাকা উচিত যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবে। আর তারাই হবে সফলকাম।" (সূরা আল ইমরান : ১০৪)।

  • “তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত, তোমরা মানবজাতির কল্যাণের জন্য আবির্ভূত হয়েছ, সৎ কাজের আদেশ দাও ও অসৎ কাজের নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখো। (সূরা আল ইমরান: ১১০)।

  • ‘‘আল্লাহর অনুমতিক্রমে তার দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি’’ (সূরা আহযাব-৩৩:৪৬)।

তাবলীগ সম্পর্কে পবিত্র হাদীসের বক্তব্য:

  • রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘আমার একটি বাণী হলেও অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’

  • রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যদি কাওমের কোনো ব্যক্তি পাপকাজে লিপ্ত হয় এবং কওমের লোকেরা তাকে বারণ করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও বারণ না করে, তবে মৃত্যুর আগে আল্লাহতায়ালা তাদের আজাবে নিপতিত করবেন।’ (আবু দাউদ, মেশকাত ৪৩৭)।

  • ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি গর্হিত কাজ হতে দেখে তবে তা হাত তথা শক্তি দিয়ে পরিবর্তন করবে। যদি না পারে তবে মুখ দিয়ে বলে তা পরিবর্তন করবে। যদি তাও না পারে তবে অন্তর দিয়ে তা অপছন্দ করবে। আর এটা হলো দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।’ (মুসলিম, মেশকাত)।

  • হযরত জাবের (রা.) বলেন, নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা জিবরাইল (আ.)-কে হুকুম দিলেন যে, অমুক শহরকে তার বাসিন্দাসহ উল্টিয়ে দাও, জিবরাইল (আ.) বললেন, হে আমার রব সে শহরে আপনার অমুক বান্দাও আছে যে কখনই আপনার নাফরমানি করেনি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাইল (আ.)-কে বললেন তুমি সে শহরকে উক্ত ব্যক্তিসহ সব শহরবাসীসহ উল্টিয়ে দাও। কেননা শহরবাসীকে আমার হুকুম অমান্য করতে দেখে এক মুহূর্তের জন্য তার চেহারার রঙ পরিবর্তন হয়নি।’ (শিকাতুল মসাবিহ : হাদিস নং-৫১৫২)।

হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) দাওয়াতের কাজে উত্তর প্রদেশের মেওয়াতবাসীকে সংগঠিত করেন। তাদের জামায়াতবদ্ধ করে ধারে-কাছের সব জনপদে পাঠাতে শুরু করেন। ১৯৪১ সালে মেওয়াতের নূহ এলাকায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। আল্লাহর রহমতে তাবলিগ জামাতের এই প্রথম ইজতেমা বিশাল আকার লাভ করে। এর তিন বছর পর ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজিক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আশাতীতভাবে বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে ইজতেমা টঙ্গির পাগার গ্রামের খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়। ওই বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৭ সাল থেকে বর্তমান অবধি ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রতিদিন ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর লম্বা সময় নিয়ে বয়ান করা হয়। জোহর এবং আসরের পরেও ছোট্ট পরিসরে বয়ান হয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিশেষ শ্রেণী বা পেশার মানুষ যেমন ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি, সাংবাদিক ও আলেমদের নিয়ে আলাদা আলাদা বয়ান হয়। এ সময় মাঠে থাকা অন্যরা তালিমের কাজে ব্যস্ত থাকেন। বয়ান সাধারণত ভারত-পাকিস্তানের বিজ্ঞ আলেম ও মুরুব্বিরা করে থাকেন। বয়ান উর্দুতেই বেশি হয়। পরে এটা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বাংলায় অনুবাদ হয়। তবে বাংলাদেশের কেউ বয়ান করলে সরাসরি বাংলাতেই করেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য এসব বয়ান তাদের নিজ নিজ ভাষায় অনুবাদ করে শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়, এমনকি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বয়ানের মর্মার্থ বুঝানোর ব্যবস্থা রয়েছে।এ সব বয়ানের মূল উদ্দেশ্য থাকে, মানুষের মধ্যে ঈমানি চেতনা বৃদ্ধি এবং দ্বীনের প্রচার-প্রসারের ভাবনা তৈরি করে তাদেরকে জামাতে বের হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা।

টঙ্গিসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত ইজতেমাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার লক্ষ্যে বেশি পরিমাণে জামাত আল্লাহর রাস্তায় বের করা। বর্তমান সময়ে কেউ শুধু কয়েকটা বয়ান শুনে ইসলাম পালন শুরু করবে- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে জামাতে যেয়ে যখন কেউ একনাগাড়ে কিছুটা সময় দ্বীনি পরিবেশে থাকে; তখন তার জন্য ইসলাম মানা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এ জন্য দেখা যায় যে, সারা বছর মিলে যে পরিমাণ জামাত বের হয়, ইজতেমা থেকেই তার অনেক বেশি জামাত আল্লাহর রাস্তার ঈমানের দাওয়াত নিয়ে বের হয়।

বস্তুত ইজতেমার মূল আয়োজনে শুধু ঈমান-আমলের কথা বলা হয়, কোরআন তেলাওয়াত শিখানো হয়, নবীদের জীবনী পাঠ করে শোনানো হয়, নফল নামাজ পড়তে উৎসাহী করা হয়, অনেক বড় জামাতের সঙ্গে এসব আমল সম্মিলিতভাবে করা হয়, মূলত সেগুলোর সওয়াবের কারণেই ইজতেমার সওয়াবের কথা বলা হয়। তাছাড়া আলাদাভাবে ইজতেমার কোনো সওয়াব নাই। কেউ যদি বলে বা মনে করে যে, শুধু ইজতেমায় আসলেই সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, তিনবার ইজতেমায় গেলে একবার হজের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে- নিঃসন্দেহে এসব ভুল কথা। সবাইকে এসব থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

সঙ্গতকারণে তৎকালীন ভারতের প্রচলিত কিছু উর্দু, ফার্সি ও আরবি শব্দ তাবলিগের বিভিন্ন পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা এখনও চলমান। পাঠকের সুবিধার্থে এখানে তেমন কিছু শব্দ উল্লেখ করা হলো।

ইজতেমা- সমাবেশ, মহাসমাবেশ। তাবলিগ- পৌঁছানো, প্রচার করা। আমির- দলপতি, নেতা। রাহবার- পথপ্রদর্শক। মামুর- আমিরের অনুসরণকারী। মুতাকাল্লিম- কথক, বক্তা। দাঈ- দ্বীনের পথে আহবানকারী। গাশত- দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে চলাফেরা করা। উমুমি গাশত- জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দলবদ্ধভাবে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য গমন। খুসুসি গাশত- বিশেষ কাউকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য গমন। তাশকিল- জামাত গঠনের জন্য বিশেষ দাওয়াত। তালিম- দ্বীন শিক্ষার আসরবিশেষ, তাবলিগে সাধারণত ফাজায়েলে আমল নামক একটি কিতাব একজন পাঠ করে অন্যরা তা শুনে এটাকে তালিম বলে। বয়ান- বক্তৃতা। আম বয়ান- সবার উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতা। খাস বয়ান- বিশেষ কোনো শ্রেণীর জন্য প্রদত্ত বক্তৃতা। তায়ারুফি বয়ান- কোনো স্থানে জামাত যাওয়ার পর সেখানকার দেওয়া পরিচিতিমূলক বয়ান।

ছয় উসূল-তাবলিগ যে ছয়টি মূলনীতির ভিত্তিতে দাওয়াতের কাজ করে তাকে ছয় নম্বর বা ছয় উসূল বলে। ইকরাম- সম্মান দেখানো, সহযোগিতা বা সেবা করা। ইস্তেকবাল- অভ্যর্থনা করা। খেদমত-সেবা করা, এখানে জামাতের সাথীদের খাবার আয়োজনের দায়িত্বকে বুঝায়। মাশওয়ারা-পরামর্শ। সামানা- আসবাবপত্র। খিত্তা- টুকরো জায়গা, ইজতেমা মাঠের এলাকা নির্ধারক স্থান বিশেষ। এক চিল্লা- আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে ৪০ দিনের জন্য বেরিয়ে পড়া। তিন চিল্লা- চার মাস মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়া। সাল-এক বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো। জোড়-বিভিন্ন স্তরের সাথীদের নিয়ে বিশেষ সম্মেলন। শবগুজারি- তাবলিগের মারকাজে রাতযাপন, সাধারণত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত মসজিদে কাটানোকে শবগুজারি বলে। নুসরত- সাহায্য করা অর্থাৎ বহিরাগত জামাতের কাজে সহযোগিতা করা।উসুল- আদায় করা অর্থ হলেও এখানে তাবলিগের জন্য কাউকে রাজী করে বের করে আনা অর্থে ব্যবহৃত হয়। মোজাকারা- পরস্পরে আলাপ-আলোচনা। জুড়নেওয়ালে জামাত- যারা ইজতেমার মাঠ থেকেই জামাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তত হয়। এলান- ঘোষাণা। মেহনত-পরিশ্রম। জিম্মাদার-দায়িত্বশীল।

জামাত-দল, সাধারণত একটি জামাতে ১৫/১৬ জন লোক থাকে। হযরতজি- কোনো সম্মানিত ব্যাক্তিকে ভক্তিভরে এ নামে ডাকা হয়। তবে তাবলিগের পরিভাষায় তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস (রহ.), ইউসুফ (রহ.) ও এনামুল হাসান (রহ.)- এই তিনজনকে হজরতজি নামে ডাকা হয়। আখেরি মুনাজাত- শেষ মুনাজাত, ইজতেমা শেষে কৃত মুনাজাতকে আখেরি মুনাজাত বলা হয়। মুরুব্বি-অভিভাবক, এখানে নেতৃস্থানীয়দের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। মারকাজ- কেন্দ্র, তাবলিগের কাজ যেখান থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে তাবলিগের মূল মারকাজ হলো- কাকরাইল মসজিদ। আর দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ হলো- বিশ্ব তাবলিগের মূল কেন্দ্র। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় একটি করে তাবলিগের মারকাজ রয়েছে। হালকা- এলাকাভিত্তিক ভাগ।

আখেরি মোনাজাত

বিশ্ব ইজতেমার শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আখেরি মোনাজাত। গভীর ভক্তি সহকারে মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন এবং আমিন আমিন বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আখেরি মোনাজাতের সময় টঙ্গীরের তুরাগ নদীর তীর মুসল্লিদের জোয়ারে পরিণত হয়। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার মূল কার্যক্রম।



অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া