Skip to main content

সার্চ ইজ্ঞিন কি? এবং সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

এসইও কথার সম্পূর্ণ মানে (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)। একটি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ পোষ্টকে গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন যেন ভালো ভাবে বুঝতে পারে এর জন্য এসইও কাজ করা হয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি প্রোসেস যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি, কোয়ান্টিটি এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করা হয়। এসইও মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বা পোষ্টে ফ্রি ট্রাফিক নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।

সার্চ ইজ্ঞিন কি? এবং সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিনকে বর্তমান সময়ের লাইব্রেরী বলতে পারেন। লাইব্রেরীতে যেমন লক্ষ লক্ষ বা হাজার হাজার বুক থাকে তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ স্টোর থাকে।

আমরা যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু টাইপ করি জানার জন্য বা অন্য যে কোন কারনে তখন সার্চ ইঞ্জিন লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট বা পেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সব থেকে ভালো রেজাল্টটি আপনার জন্য খুঁজে বের করে।

সব থেকে ভালো রেজাল্টটি আপনার জন্য খোঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিন প্রোগ্রামের সহযোগিতা নিয়ে থাকে। যা আমরা এলগরিদম বলে থাকি।

কিন্তু কেউ জানে না এই এলগরিদম গুলো কি ভাবে কাজ করে। সার্চ এলগরিদম একটি বা দুইটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট বা পেজ রে গুগল Rank প্রদান করে না। এর পিছনে হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ ফেক্টর কাজ করে। যেমন হাজার হাজার ফেক্টরের মধ্যে কন্টেন্ট কোয়ালিটি একটি বড় ফেক্টর।

এসইও কত প্রকার

এসইও নিদিষ্ট কোন প্রকার নেই। হ্যাঁ এসইও কাজের একটি প্রোসেস আছে যার মাধ্যমে একটি পোষ্টের বা ওয়েবসাইটের এসইও করা হয়। এসইও কাজের এই প্রোসেসকে আমরা তিন ভাবে ভাগ করতে পারি।

এসইও কত প্রকার

  • টেকনিক্যাল এসইও
  • অনপেজ অপটিমাইজেশন
  • অফপেজ অপটিমাইজেশ
  • লোকাল এসইও

টেকনিক্যাল এসইও

একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করা শেষ হওয়ার পর তার গতি বিধি লক্ষ রাখার জন্য কিছু কাজ করা জরুরি। যেমন আপনার ওয়েবসাইটে আজ কত জন ভিজিটর আসল, কোথা থেকে আসল, কি দিয়ে সার্চ করার পর আপনার ওয়েবসাইটে গুগলে পাওয়া যাচ্ছে, কোন পোষ্টটি গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসতেছে, কোন পেজটি ইনডেক্স হয়নি, সাইট ম্যাপ সাবমিশন ইত্যাদি বিষয় গুলো জানার জন্য ট্যাকনিক্যাল এসইও গুরুত্ব অনেক।

সুতরাং আপনাকে জানতে হবে, Google Search Console, Google Analytic and Tag manager এই তিনটি একাউন্ট বিষয়ে বিস্তারিত।

যদিও টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবে না। তারপরেও আমি চেষ্টা করব টেকনিক্যাল এসইও রিলেটেড বিষয় গুলো কর্ভার করার।

অনপেজ অফটিমাইজেশন

আপনার ওয়েবসাইট বা পোষ্টকে সার্চ রেজাল্টের উন্নতির জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। সেই সকল পদক্ষেপ গুলোকে অনপেজ অফটিমাইজেশন বলে।

অনপেজ অফটিমাইজেশন কাজ গুলো হল:

  • কিওয়ার্ড রিসার্চ
  • মেটা ট্যাগ
  • টাইটেল অফটিমাইজেশন
  •  h2, h3, h4, h5 হেডিং অফটিমাইজেশন
  • কিওয়ার্ড Density
  • ইন্টারনাল লিংকিং
  • কিওয়ার্ড রেশিও
  • গ্রাফিক্স
  • URL Structure
  • ইমেজ Alt
  • কমপ্রেস ইমেজ
  • Schema Markup
  • এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট
  • TF-IDF
  • কিওয়ার্ড Stuffing

অফপেজ এসইও বা অফপেজ অপটিমাইজেশন

একটি ওয়েবসাইট বা পোষ্টকে গুগল সার্চ রেজাল্টের টপে নিয়ে আসার জন্য অফপেজ অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অফপেজ অপটিমাইজেশনের একটি উদ্দশ্য ওয়েবসাইট বা পোষ্টের লিংক বিন্ডিং করা।

অফপেজ অফটিমাইজেশনের কাজ হল নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা বা লিংক বিল্ড করা। পোস্টের ব্যাকলিংক ছারা কখনো ওয়েবসাইট গুগলে Rank করানো সম্ভব নয়।

যদিও অনেক পোষ্ট ব্যাকলিংক ছারা গুগলে Ranking অবস্থায় আছে তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ি নয়। আপনার কমপিটিটর যে কোন সময় আপনার Ranking ডাউন করে দিতে পারে।

অফপেজ এসইও

একটি পোষ্ট বা ওয়েবসাইট তিনটি বিষযের উপর ভিত্তি করে গুগল Ranking আসতে পারে। তিনটি বিষয়কে সংক্ষেপে EAT (Expertise, Authoritativeness, and Trustworthiness) বলা হয়ে থাকে।

EAT বিষয়কে লক্ষ করে গুগল আপনার ওয়েবসাইটের Rank তৈরি করতে পারে গুগল থেকে এমন কোন নিউজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু গুগল EAT টপিকে গুরুত্ব সহকরে দেখতে বলেছেন।

Expertise ( দক্ষতা )
আপনি কোন বিষয়কে লক্ষ করে পোষ্ট করলে গুগল বুঝতে পারে, লেখাটির মধ্যে তথ্য কতটুকু আছে। অথবা আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছেন সেই বিষয়টির উপর আপনার দক্ষতা কেমন।

যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন আপনি যদি সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার লেখার মান অনুযায়ি গুগল আপনাকে Rank করবে। যদিও গুগল কখনো এই বিষয় ‍গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নাই।

সকল বিষয়ে দক্ষতা দেখাতে হবে তা কিন্তু নয়। দক্ষতা সেই সকল পোষ্টে দেখা হয় যে সকল পোষ্ট YMYL টপিকের উপর বেইস করে লেখা হয়।

কেউ একজন মেডিক্যাল বিষয়ে কোন ব্লগ লিখতেছে সেই ক্ষেত্রে আপনি জ্ঞান থাকাটা জরুরি। আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে মানুষ মেডিক্যাল বিষয়ে নতুন কিছু জ্ঞান অর্জন করবে বা শিখবে।

যেমন আমি একজন এসইও ওয়ার্কার সুতরাং আমাকে যদি এই দুইটি বিষয় নিয়ে বলতে বলা হয় বা লিখতে দিতে হয় তাহলে আমি ভালো বলতে বা লিখতে পারব। কিন্তু কেউ যদি আমাকে ভ্যাট, ট্রাক্স নিয়ে ব্লগ লিখতে বলে তাহলে আমার পক্ষে সেটা সম্ভব হবে না।

(Authoritativeness) প্রামাণ্য
আমরা প্রায় নিউজের মধ্যে দেখি যে এই বিষয়ে এক্সপার্ট বি আমাদের সাথে কথা বলবেন। যেমন ধরুন আমাদের দেশের শিশুরা পুষ্টি হীনতায় ভুগতেছে। এই পুষ্টি হীনতার কারন কি এবং কিভাবে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে। সেই সকল বিষয় জানার জন্য আমরা অবশ্যই একজন শিশু পুষ্টি বিশারদের কাছে যাব।

কারন উনার কাছে যে প্রামাণ্য পাওয়া যাবে তা অন্য কারো কাছে পাওয়া যাবে না। এবং মানুষের বিশ্বাসের একটি বিষয় জড়িত থাকবে উনার মন্তব্যের উপর।

Trustworthiness (বিশ্বাসযোগ্যতা)
একটি কন্টেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে তার বিষয়বস্তুর বৈধতা, স্বচ্ছতা এবং নির্ভুলতা উপর। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পোষ্ট পাবলিশ করার সাথে সাথে তার সোর্স উল্লেখ্য করা উচিত। কারন যে আপনার কন্টেন্ট টি পড়বে সে যেন বুঝতে পারে এই সকল তথ্যের উৎস কোথায়।

এর কারনে গুগল একটি সংকেত পাবে বিশ্বাসযোগ্যতার। এবং আপনার পোষ্টকে একটি Rank করানো হবে গুগলের সার্চ রেজাল্টে।

বিশ্বাসযোগ্যতার অন্য একটি বিষয় হল এক্সপার্ট অথোরিটি। আপনার কন্টেন্টটি যে পাবশিল করেছে তার যোগ্যতা। এবং লেখার সাথে সেই ব্যক্তির প্রোফাইল যুক্ত করতে হবে।

লোকাল এসইও কি?

প্রতিটি দেশের জন্য গুগলের ভিন্ন ভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন চালু করা আছে। যেমন বাংলাদেশের জন্য গুগল সার্চ হচ্ছে https://www.google.com.bd/ আপনি এই সার্চ ইঞ্জিন থেকে গুগলে সার্চ করলে সাধারনত বাংলাদেশের বাংলা ওয়েবসাইট গুলোর রেজাল্ট দেখতে পাবেন

বিষয়টি আরও একটি ক্লিয়ার করা যাক। ধরুন আপনি বসবাস করেন ইউকের কোন দেশে। আপনি বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। আপনি বাংলাদেশে এসে গুগলে সার্চ করলে 5 Star Hotel তাহলে গুগল আপনাকে সেই সকল হোটেলের রেজাল্ট দেখাবে যাদের অবস্থান বাংলাদেশে।

অথবা আপনি ভালো বাংলাদেশী রোস্তরা খুঁজছেন। এবার আপনি যে রেজাল্ট গুলো দেখতে পাবেন সে গুলো অবশ্যই বাংলাদেশের রোস্তরা।

আমি এই লেখার উপরে বলেছিলাম গুগল স্থান অনুযায়ি গুগলে রেজাল্টে প্রদান করেন। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে শুধু ডট কম ডট বিডি গুগল থেকে এই সকল রেজাল্ট আসবে তা কিন্তু নয়।

এখন প্রশ্ন হল আমি বাংলাদেশে বসবাস করি না। কিন্তু অনলাইনে বাংলাদেশকে লক্ষ করে ব্যবসা করতে চাই সেই ক্ষেত্রে কি করব। হ্যাঁ এটাও করা সম্ভব, আপনি Google Search Console একটি অপশন আছে যেখানে নিদিষ্ট দেশকে লক্ষ করে ব্যবসা করা যায়।

লোকাল এসইও আরও একটি বিষয়কে ইফেক্ট করে। সেটা হল আপনার ডোমেইন এক্সটেনশন যেমন বাংলাদেশের লোকাল ব্যবাসার জন্য .bd or .com.bd খুবেই ভালো ইফেক্ট তৈরি করে লোকাল এসইও করার ক্ষেত্রে।

আপনি চাইলে TLD ( Top-level domain) দিয়ে যে কোন দেশকে কাজ করতে পারবেন। যেমন আমার ডোমেইনটি ডট কম কিন্তু আমার কন্টেন্ট গুলো বাংলাদেশকে লক্ষ করে লেখা। সুতরাং আপনার ডোমেইন .com or .org হলেও কোন সমস্যা নেই।

লোকাল এসইও যে ভাবে করা যেতে পারে-

  • আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবসার স্থান উল্লেখ করুন।
  • NAP Citations তৈরি করুন।
  • GMB একাউন্ট তৈরি করুন।
  • লোকাল Keywrod যা আপনি GMB একাউন্টে ব্যবহার করবেন।
  • কাস্টমারের কাছ থেকে GMB একাউন্ট রিভিউ নিন।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট শেয়ার করুন।

Backlink বলতে কি বুঝায়?

ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে এবং সেখানে একটি লেখা আচে এসইও বিষয়ে। কিন্তু লেখাটি তত বেশি বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়নি। এবার আপনি সেই লেখার মধ্যে আমার এই পোষ্টের লিংকটি যোগ করলেন।

এই যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আমার ওয়েবসাইটের একটি পোস্টের লিংক যুক্ত করলেন এটাই লিংক বিল্ডিং বলে। দুই ভাবে লিংক বিল্ড হয়ে থাকে।

যেমন আপনি আমার ওয়েবসাইটের লিংকটি আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করেছেন কিন্তু আমি জানি না। আপনি লিংক টি যুক্ত করেছেন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের সুবিধার জন্য। যদি এই ভাবে কোন ওয়েবসাইটের বা পোষ্টের লিংক বিল্ড হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে ন্যাচারাল লিংক বিল্ডিং বলে থাকে।

অন্যটি হল নিজে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক বিল্ড করা। যেমন আপনি Quora বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন। এখন আপনার একটি ব্লগ আছে আপনি যে সকল প্রশ্নের উত্তর Quora দিয়ে থাকে সেখানে আপনার ওয়েবসাইট বা পোষ্টের লিংক শেয়ার করলেন।

যখন আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি হবে তখন ন্যাচারাল লিংক বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যাকলিংক বা লিংক বিল্ড করার জন্য ভিন্ন কোন চেষ্ট করতে হবে না।

এসইও কিভাবে কাজ করে?

এসইও একজন প্রদর্শক হিসাবে কাজ করে। যাতে করে আপনার পোষ্ট গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসতে পারে এবং অনেক আরগানিক ট্রাফিক জেনারেট করতে পারে।

কারন প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন চায় তাদের সার্চ রেজাল্টে সবথেকে ভালো রেজাল্টি যেন আসে। সকল সার্চ ইজ্ঞিনের এলগোরিদম যে একই ভাবে কাজ করবে আপনি সেটা বলতে পারবেন না।

প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাজ করে। যেমন আপনি যদি আপনার ভিডিওকে ইউটিউব সার্চ রেজাল্টের প্রথমে নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে ইউটিউব এলগোরিদম কিভাবে কাজ করে।

যেহেতু প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের ভিন্ন ভিন্ন এলগোরিদম নিয়ে কাজ করে। সুতরাং এটা সম্পূর্ণ ভাবে বোঝা কখনো সম্ভব নয়। আমরা কিছু কিছু বিষয় কে লক্ষ করে কাজ করতে পারি মাত্র।

এবার আমি আপনাদের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। অথাব যে প্রশ্ন গুলো আপনার মনের মধ্যে আসতে পারে।

এসইও গুরুত্ব

আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা মানুষ নিয়ে আসার সব থেকে ভালো মাধ্যম হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। এবং ওয়েবসাইট ‍গুলোতে যে ট্রাফিক আসে তার 57.80% আসে গুগল থেকে।

সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েবসাইটকে টপ পজিশনে নিয়ে আসার জন্য ২০০ প্লাস কারন নোট করে। এসইও করার মাধ্যমে সেই সকল কারন গুলোকে বুস্ট করা হয় ওয়েবসাইটকে ১ থেকে ১০ পজিশনে নিয়ে আসার জন্য।

এসইও শেখা কতটা জরুরি?

না, সবাইকে এসইও শিখে এসইও কে ক্যারিয়ার হিসাবে পছন্দ করতে হবে বিষয়টা কিন্তু এমনটা নয়। এসইও ব্যতিত হাজার হাজার পেশা আছে যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার দ্বার করাতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি চিন্তা করেন অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে তার মাধ্যমে ক্লাইন্ট সংগ্রহ করে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করবেন তাহরে আপনাকে অবশ্যই এসইও জানতে হবে।

দেখুন প্রতিটি মানুষের চিন্তা ভাবনা ভিন্ন। এই যে এতো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর বাইরে কি মানুষ ক্লাইন্ট পায় না। অবশ্যই পায় বরং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের মাধ্যমে মানুষ যত টাকার কাজ করায় তার থেকে কয়েকগুন বেশি টাকার কাজ হয় মার্কেটপ্লেসের বাইরে।

বাইরে বলতে বিভিন্ন এজেন্সি গুলো বেশি কাজ করে। সাধারনত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আসে যাদের ছোট ছোট কাজ করানোর দরকার হয়। কিন্তু একটি কোম্পানির সম্পূর্ণ প্রজেক্টের কাজ করানোর জন্য কখনো ফ্রিল্যান্সার হায়ার করানো হয় না।

এসইও শেখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ন দিক হল, আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করার জন্য যাকে কাজ দিবেন সে সঠিক ভাবে কাজটি করছে কিনা সেটা বোঝার জন্য এসইও শেখা দরকার।

সবশেষ একটি কথাই বলতে পারি, প্রতিটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্টানের মালিকের বা এমডিকে এসইও জ্ঞান থাকা উচিত।

এসইও শিখতে কত দিন সময় লাগতে পারে?

এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর সত্যি আমার জানা নেই। তারপরেও যেহেতু প্রশ্নটির উত্তর গুগলে সার্চ করা হয় সুতরাং এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য।

আমি এই সেক্টরে আশার পর দুইটি বিষয় ক্লিয়ার হয়েছে যে এই সেক্টরে কত ধরনের ওয়ার্কার আছে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখেছি এই সেক্টরে প্রায় ৪ ধরনের ওয়ার্কার আছে।

  • এর সব কিছু জানে কিন্তু ৮০% কাজ জানে না।
  • এর সঠিক গাইডলাইন প্রদান করে কিন্তু নিজে সে গাইড লাইন মেইনটেইন করে না।
  • এর নিজেদের এক্সপার্ট মনে করে। কিন্তু এদের ব্লগ পড়লে বোঝা যায় এরা কত টুকু এক্সপার্ট।
  • এর প্রোফেশনাল কখনো নিজেকে এসক্সপার্ট মনে করে না। ওভার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে না।

এবার আপনি বলুন আপনি কোন ধরনের মধ্যে নিজেকে দেখতে চান। দুই চারটি কোর্স শেষ করলে প্রথম টাইপের মধ্যে আসতে পারবেন। কিন্তু একজন প্রোফেশনাল ওয়ার্কার আজীবন শেখার মধ্যেই থাকে। প্রোফেশনাল ওয়ার্কার জানে এই সেক্টরে কখনো এক্সপার্ট হওয়া সম্ভব নয়।

হ্যাঁ, এই সেক্টরে অনেক দিন যাবত কাজ করলে আপনার অনেক কিছু জানা হবে এটাই স্বাভাবিক।

এই সেক্টরে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই নিজের একটি ওয়েবসাইট লাগবে । ভাই মাঠে ফুটবল খেলার আগে আপনাকে প্রাকটিস করতে হবে । প্রাকটিস করার সব থেকে ভালো জায়গা হতে পারে যেখানে আপনি প্রোফেশনাল ভাবে খেলবেন ।

সুতরাং এসইও শিখতে কত দিন সময় লাগবে এই প্রশ্নের উত্তর হল কয়েক ঘন্টা এবং আজীবন।

মোবাইল দিয়ে এসইও

হ্যা, এই প্রশ্নটি গুগলে সার্চ করা হয়। আপনার হাতে একটি স্মার্ট ফোন থাকলে আপনি সারা বিশ্বের খোঁজ খবর রাখতে পারবেন, এটা সত্যি। এবং আপনি মোবাইল দিলে এসইও শিখতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু সমস্যাটা কোথায়। সমস্যাটা হল আপনি যখন এসইও প্রোকটিস করবেন। আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ভালো এসইও প্রোকটিস করতে পারবেন না।

Mobile SEO

যেমন ধরুন, আপনি একটি পরিকল্পনা করলেন যে এসইও ফ্রেন্ডলি একটি কন্টেন্ট লিখবেন। সুতরাং প্রথমে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্স করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্স করা একটি ব্রড টপিক সুতরাং মোবাইল ফোনে করা সম্ভব নয়।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কিওয়ার্ড রিসার্স করার সময় খাতা কলম নিয়ে বসতে হয়। সেই ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন আপনি কাজটি সহজ ভাবে করতে পারবেন না।

কিছু টুল আছে যার মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্স করা যায়। কিন্তু আমি লেখার শুরুতে বা মাঝখানে বলেছি প্রোফেশনাল কাজের ধারাটা একটু ভিন্ন।

শুধু লো কম্পিটিশন, লো DA And PA দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় কিওয়ার্ডটি নিয়ে কাজ করা যাবে কি না। এর জন্য আরও অনেক গুলো বিষয় জড়িত যা আপনাকে জানতে হবে।

সুতরাং সব শেষে আমরা বলতে পারি মোবাইল দিয়ে এসইও শেখা সম্ভব, প্রোকটিস করাও সম্ভব কিন্তু খুব সহজ ভাবে বা সুন্দর করে কাজটি করা সম্ভব কি!


Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...