শিরোনাম দেখে অনেকেই বুঝতে পারছেন না এটা আবার কোন ধরণের কথা? তাহলে কি এতদিন আমি নিজেকে চিনি না? আমি কীভাবে নিজেকে জানব এবং যখন আমি নিজেকে জানব তখন কী হবে?
আমরা অনেকেই জীবনের অনেক গুলো বছর পার করে ফেলেছি। কেউ হয়ত দশ আবার কেউ বারো কেউ কেউ পনেরো কারো চল্লিশ আবার কারো তার ও বেশি।কিন্তু আমরা এর আগে নিজেকে চেনার মত সময়, সুযোগ পায়নি। অনেকে বুঝতেই চাইনি । আমরা যখন অনেক রকম সমস্যায় পড়ি তখন কোন সময় ভাগ্যের দোষ দেয়, না হয় অন্য কারো অথবা সময়ের। কিন্তু অনেক সময় এটার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি থাকি। কারন আমরা নিজেকে বুঝতে পারি না। তাই সমস্যা গুলো ও উপলব্ধি করতে পারি না। আবার আমরা সমস্যা নিয়ে ও চিন্তা ভাবনা করিনা।
কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করবো?
আপনি চাইলেই হঠাৎ নিজেকে বদলাতে পারবেন না,এর জন্য সময়ে লাগবে। ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, চেলেঞ্জ নিতে হবে ধাপে ধাপে। রাতে ঘুমাইলাম সকাল উঠলাম তার পর বলবো আমি পরিবর্তন হয়ে গেছি এটা কি আসলে সম্ভব। যদি সত্যি নিজের পরিবর্তন চান তাহলে সবার আগে নিজেকে সময় দিতে হবে। লক্ষ্য করে দেখুন কি কি বিষয়ে আপনি পরিবর্তন চান সে বিষয়টি খাতায় লেখা শুরু করুন।
ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন করতে হয় সময়ের সাথে। আগে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কেন পরিবর্তন চাচ্ছেন আসলে কি আপনার পরিবর্তন প্রয়োজন নাকি কাউকে দেখানোর জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন এটা আগে ভাবুন। যদি ভাবা শেষ হয় তাহলে শুরু করা যাক
নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য এগুলো ফলো করুন?
- অযথা সময় নষ্ট করা বন্ধ করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করবেন না।
- রুটিন অনুযায়ী আপনার প্রাত্যহিক জীবন সাজিয়ে নিন। মনে রাখবেন রুটিন যেন পরিবর্তন না হয়।
- নিজেকে পরিবর্তনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হোন। আপনার জীবনের লক্ষ্য স্থির করে তার উপর বিশেষ ভাবে কাজ করুন।
- প্রতিদিন নিজেকে মোটিভেট করুন, রাতারাতি সফল হবেন না। চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য নিজেকে তৈরি করুন।
- যেকোনো পরিবর্তনের জন্য সময় প্রয়োজন। এজন্য একটা সময় ফ্রেমবন্দী করতে পারেন। প্রথমে ১৫ দিনের, এরপর তা বাড়িয়ে ২১ দিনের, অতঃপর ৩০ দিনের, এবং সর্বশেষ তা ৯০ দিনের একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন।
- অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না, সবই আমার দ্বারা করা সম্ভব, এই বিশ্বাসটুকু রাখবেন।
- দায়িত্ব নিতে শিখুন।
- সবসময় মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। ভালভাবে কথা বলুন।
- রাগান্বিত হলে কাউকে গালি দেবেন না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
- হাল ছেড়ে দিয়েন না, হতাশ হবে না। নিজেকে সবসময় বলুন আমি এটা করতে পার
- প্রতিদিন অবসর সময়ে বই পড়ুন। রাতে ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মিনিট বই পড়ুন।
- আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মগুলি আপনার ডায়েরিতে লিখুন, অন্তত প্রতি সপ্তাহে আপনি কী করছেন তা ডায়েরিতে লিখুন এবং এই সপ্তাহে আপনি কী করেছেন তা বিশ্লেষণ করে পরের সপ্তাহে আরও ভালো করার চেষ্টা করুন।
- সময়ের সাথে চলার চেষ্টা করুন, ভাগ্যের উপর নির্ভর করবেন না।
- বাস্তববাদী হোন।
- নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
- একজন মুসলিম হলে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং প্রতিদিন আল কুরআন পড়ুন।
- কারো সাথে ভুল করলে সরি বলুন। রাতে ঘুমানোর আগে ক্ষমা করে দিন যা যা ঘটেছে তা নিয়ে।
- ভালো কাজের জন্য অন্যকে উৎসাহ দিন।
নিজেকে কতটা জানেন আপনি?
আমি জানি আপনি আপনার চারপাশের অনেক কিছু সম্পর্কে খুব ভালো জানেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আপনি এত কিছু জানেন, কিন্তু আপনি নিজের সম্পর্কে আসলে কতটা জানেন সে সম্পর্কে কি কোনো ধারণা আছে ? আপনি কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন আপনি আসলে কেমন আছেন?
আমি বলছি বলে তা নয়, আপনার নিজের জন্য নিজেকে জানাটা অনেক বেশি জরুরী। কথা হল নিজেকে কীভাবে জানবেন? নিজেকে জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে যা আমি আজ আপনার সাথে আলোচনা করব।
- প্রথমেই আপনার পছন্দ-অপছন্দের একটা লিস্ট করে ফেলুন। কারণ আপনার কি পছন্দ কি অপছন্দ তা জানাটা দরকার। আপনার কাছে কোন জিনিসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনটা নয় সেটারও লিস্ট করুন।
- সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনার সেই মূল্যবান সময় আপনি কিসে ব্যয় করতে চান আর কিসে ব্যয় করতে চান না সেটাও অবশ্যই খুঁজে বের করুন।
- আপনার আশেপাশের মানুষগুলোকে এবং সম্পর্কগুলোকে মূল্যায়ন করুন। আশেপাশের মানুষগুলো আসলে কেমন এবং আপনি তাদের নিয়ে কি ভাবছেন। আশেপাশের মানুষগুলোর সাথে আপনার সম্পর্ক আসলে কেমন? কোন সম্পর্কগুলি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই সম্পর্কগুলি তাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ কিনা তা বিবেচনা করুন।
- নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন মানুষের কোন দিকটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে এবং একই সময়ে জানার চেষ্টা করুন নিজের কোন দিকটা আপনার কাছে বিরক্ত লাগে।
- সব মানুষের সবকিছু ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই বিরক্ত লাগার সাথে সাথে কোন ব্যাপারগুলো আপনার ভালো লাগে তা খুঁজে বের করুন। অবশ্যই নিজের ভালো লাগার জিনিসগুলোও খুঁজে বের করবেন। এটা একটা সার্বজনীন সত্য যে, আপনি তখনই মানুষকে ভালোবাসতে পারবেন যখন আপনি নিজে নিজেকে ভালোবাসবেন।
- সমাজের অন্যান্য লোকেরা আপনার সাথে কী কী ভাল করছে তা খোঁজার চেষ্টা করুন। হয়তো দেখা যাবে এই কাজগুলো আপনি করছেন না। অন্যের ভালো কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিন যাতে আপনি চাইলে অনেক ভালো করতে পারেন।
- ভাবুন আসলে আপনি সবার আড়ালে কেমন? সবসময় সবাই সামনে থাকে না তখন আপনি আসলে কীভাবে কথা বলতে পছন্দ করেন, কেমন জামা-কাপড় পরতে ভালোবাসেন এবং কীভাবে থাকতে পছন্দ করেন। তাহলেই সবার সামনে থাকা আপনাকে আর আসলেই আপনি কেমন তা খুঁজে পাবেন।
- আপনার প্রিয় বিষয়গুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। শুধু তালিকা করে থামবেন না। সেগুলো করার চেষ্টা করুন। এতে করে এমন অনেক প্রতিভা আপনার সামনে আসবে, যেগুলো আপনি নিজেও জানতেন না।
- মানুষ আপনাকে কীভাবে ট্রিট করছে তা বুঝার চেষ্টা করুন। তারা কি সবাই আপনাকে একইভাবে ট্রিট করছে? এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে বলে দিবে আপনার অনেক দুর্বলতার কথা। যেগুলো আসলে ঠিক করা দরকার।
- নিজের ভালো লাগা, খারাপ লাগা, নিজে কী হতে চান, জীবনের লক্ষ্য এসব জেনে তা অনুযায়ী কাজ করা আরও নানা প্রশ্নের উত্তর পাবেন আপনি যখন নিজেকে জানবেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই নিজেকে জানার প্রয়োজনীয়তাটা অনেক বেশি। আমরা কখনো কখনো তা বুঝি কখনো বা নয়। তাই আগে নিজেকে জানুন।
নিজেকে জানতে এই টিপস গুলো আপনার সাহায্যকারী হিসেবে পাশে রাখতে পারেন।
কিভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন?
আমাদের সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের আত্মবিশ্বাসের ওপর। আমাদের চিন্তা, বিশ্বাস এবং শরীরের গতিবিধির প্রতিটি অংশই আমাদের সাফল্যের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। আমি নিশ্চিত, আপনি যদি এই পোস্টটি অনুসরণ করেন তবে আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।
খুব সহজ ভাবে বললে বলতে হচ্ছে নিজের প্রতি আপনার যেই বিশ্বাস সেটাকেই আত্নবিশ্বাস বলা যেতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রফেশনাল এবং পারিবারিক যায়গাতে এমন কিছু কাজ করি যা আমি হয়ত প্রথম বার করছি। অথবা প্রথমবার না হলেও কোন একটা ভিন্নতা আছে, অথবা সচরাচর এমনটা হয়ত করা হয় না। সেই কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় কনফিউজ থাকি, আমি কি পারবো? সময় মত শেষ করতে পারবো? ঠিক ভাবে করতে পারবো? এই সিচুয়েশন গুলোতে কিছু মানুষের ভিতরে একটা পসিটিভি ফিলিং থাকে, সে ধরে নেয়, সমস্যা নেই, আমি পারবো। আবার কিছু মানুষ নেগেটিভ ওয়েতে চিন্তা করে। সে ধরে নেয়, আমি এটা পারবো না।
যারা ইতিবাচক চিন্তা করে তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি বলা যেতে পারে, আর যারা নেতিবাচক চিন্তা করে তাদের আত্মবিশ্বাস কম।
আমি আমার নিজের জীবনের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সহজ এবং কার্যকরি উপায় নিচে উল্ল্যেখ করছি হয়ত আপনাদের কাজে আসতে পারে।
- বার বার চেষ্টা করুন
- সফলদের কে অনুসরন করুন
- নিজে নিজে কথা বলা
- লক্ষ্যটাকে ছোট ছোট করে ভাগ করুন
- প্রভাবিত করতে পারে এমন উক্তি পড়ুন
- সাক্ষাৎকার
- না কে না বলুন
- নিজের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হোন
- নিজের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিন
- সচেতন ভাবে বাঁচুন
- সচেতন ভাবে বাঁচুন
- জীবনের একটি অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্য খুঁজুন এবং সেই পথ অনুসরণ করুন
- নিজের দায়িত্ব নিজে নিন
- নিজের সম্পর্কে খারাপ ধারণাগুলো পরিবর্তন করুন
- শরীর সুস্থ রাখলেও আত্মবিশ্বাস বাড়ে
- অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা জন্মাতে হবে
- প্রত্যেকের জীবনেই লক্ষ্য থাকা উচিত
- মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে আত্মবিশ্বাসও কমে যা
শেষ করার আগে একটা ব্যাপার না বললেই নেই, আত্মবিশ্বাস এবং অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস এক নয়। তাই অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস থেকে দূরে থাকুন।
চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে কিভাবে গড়ে তোলা উচিত?
আজকাল চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রচুর প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এখন চাকরি পাওয়ার জন্য নিয়োগকর্তাদের কাছে নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আর তাই নিয়োগের প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সাথে নিতে হবে।
নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করার সময় নতুন চাকরি প্রার্থীরা কী অবদান রাখতে পারেন তার উপর আগের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের জন্য যারা কোনো পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই পদের জন্য আবেদন করছেন। অতএব, অতীতের কাজের অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতাগুলি চাকরির জন্য আবেদনকারী নতুন সংস্থায় কীভাবে কার্যকর হতে পারে, তা আলাদা করে সিভিতে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। তারপর, আপনি যে সংস্থার জন্য আবেদন করছেন সেই অনুযায়ী সিভি ফর্ম্যাট করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষাত্কারের সময়, সাক্ষাত্কারকারীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে নিয়োগকর্তা বর্তমানে কি ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অতীত অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে এই সমস্যাগুলি সমাধানে অবদান রাখতে পারে তা তুলে ধরাও প্রয়োজন।
চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময় শারীরিক ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউয়ারের সামনে সরাসরি বসুন এবং চোখ বন্ধ না করে কথা বলুন। ইন্টারভিউয়ার দাঁড়িয়ে থাকলে সবসময় ইন্টারভিউয়ারের মুখোমুখি হন। আপনি যদি এইভাবে আপনার শারীরিক ভাষার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারেন, তাহলে সাক্ষাত্কারকারীরা বুঝতে পারবেন যে এই প্রার্থী চাকরিতে সত্যিকারের আগ্রহী এবং সুযোগ পেলে দায়িত্ব নেবেন।
গুগল মিট, স্কাইপ বা জুমের মতো ভিডিও কনফারেন্সিং টুলের মাধ্যমে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করার সময় সবসময় ক্যামেরার দিকে তাকান। আপনি প্রার্থী হিসাবে অন্য কোথাও খুঁজছেন এমন কোনও ভাবেই এটি প্রদর্শিত না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিযোগীদের মধ্যে নিজেকে আলাদা করে উপস্থান করার জন্য কি ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার সে সম্পর্কে একটি ছোট গাইডলাইন প্রদান করছি ।
- ইন্টারভিউয়ের সময় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখুন
- বায়োডাটা/সিভি/রিজিউমে নিজের বিশেষত্ব তুলে ধরুন
- আকর্ষণীয় কভার লেটার তৈরি করুন
- ভদ্রতা, নম্রতা বজায় রাখুন
- ইন্টারভিউ দেওয়া অনুশীলন (প্র্যাকটিস) করুন
- অনলাইনে ইন্টারভিউ হলে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন
- প্রশ্নকর্তাকে প্রশ্ন করুন
- পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন
- ইন্টারভিউর আগে প্রয়োজনীয় নোটস নিয়ে নিন
- পরিষ্কার এবং অফিশিয়াল পোশাক পরার চেষ্টা করুন
- জড়তা কাটিয়ে ওঠার জন্যে বার বার ইন্টারভিউর দেওয়ার অনুশীলন করুন
উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে কোন শিক্ষাগুলো দিয়ে থাকবেন?
আপনি কি উদ্যোগ নিতে চান কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কী করতে হবে তা জানেন না? আসলে এই মানসিকতা থেকেই উদ্যোক্তার উৎপত্তি। প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে চাকরি খোঁজার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।
কিন্তু সবার ভাগ্যে তো সেই সোনার হরিণ চাকরি জোটে না। এ ছাড়া মালিকের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার মানসিকতাও বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে প্রায় নেই বললেই চলে। তাই মানুষ এখন তাদের স্বপ্নপুরনা ও , স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য উদ্যোক্তাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
বর্তমানে, সময়ের সাথে সাথে অনেক লোক এই উদ্যোক্তা পেশায় অগ্রসর হয়েছে। অনেকেই তাদের বর্তমান পেশা ছেড়ে এই সেক্টরে মনোযোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অনেকেই এ পেশায় সফলতা পান না।
আজকের আলোচনাটি মূলত তাদের জন্য যারা নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি একটি গাইডলাইন খুঁজছেন। আশা করি প্যারাগ্রাফটিতে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কী করতে হবে তার একটি নির্দেশনা পাবেন।
কিভাবে চাপ সামলাতে শিখবেন? ?
মানুষ সামাজিক জীব। একজন মাজিক জীব হিসাবে সমাজের সকলের সাথে ভালোভাবে মিশতে না পারা পারা আপনাকে একটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিমজ্জিত করা যেখানে আপনার বেঁচে থাকা দুঃসাধ্য ব্যাপার। মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই আমাদের জীবনকে দুরহ করে তুলি। এই দুঃসহ সময়ে যখন আপনার জীবন কঠিন থেকে খুব কঠিনতর হবে, তখন নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার চারপাশের মানুষের সব কোথায় কান দেয়ার দরকার নেই। সমস্ত চাপ পরিচালনা করা খুব যে সহজসাধ্য তা কিন্তু নয়।
এজন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনি যখন এসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তখন এটি আপনাকে সবার সাথে আরও সামাজিক এবং সহজ হতে সাহায্য করবে। কিন্তু আপনি যদি সহজে মানুষের সাথে মিশতে না পারেন তবে আপনার আত্মবিশ্বাস এর চরম ঘাটতি দেখা দিবে। তাই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখা যাক কিভাবে চাপ সামলাতে শিখবেন? -
- নিজের সাথে ইতিবাচক কথা বলুন
নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন। নেতিবাচক চিন্তা আপনার মনে প্রবেশ করতে দেবেন না। ইতিবাচক শব্দ এবং সত্য অনুশীলন করুন যা আপনাকে উত্তম এবংউত্তম চিন্তা করতে সহায়তা করবে। আপনি কী করতে চান বা উত্তম কিছু কাজ করতে চান সেই চিন্তা করে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন।
- আপনার অর্জন সম্পর্কে চিন্তা করুন
আপনি কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন জীবনে আপনি কত উত্তম কাজ করেছেন? অযথা চিন্তা না করে আপনি ভাবুন কীভাবে এই সকল মহৎ কাজ আপনি করেছেন। এই সকল কাজ থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কত দুর্দান্ত কাজ করতে সক্ষম।
যখন লোকেরা বলে আপনি দেখতে কতটা ভাল বা আপনি কতটা দক্ষ, তাদের প্রশংসা গ্রহণ করুন। নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ করার জন্য অভিনন্দন। অন্যদের কথা শুনুন এবং তাদের প্রশংসা এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ দিন।
ভাল অঙ্গবিন্যাস অনুশীলন করুন কারণ এটি আপনার ব্যক্তিত্বকে অনেকাংশে উন্নত করতে সহায়তা করে। আপনি যখন বসবেন বা সোজা হয়ে দাঁড়ান, আপনাকে আত্মবিশ্বাসী দেখায়। আপনি যখন আপনার কাঁধকে নীচু করতে দেন, তখন এটি খুব ভীতু বা দুর্বল বোধ করবে।
শুরুতে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে শিখুন যাতে সেগুলি অর্জন করা যায়। বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিজেকে ধাক্কা দেবেন না কারণ এটি প্রথমে অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। এটি আপনাকে নেতিবাচকভাবে চিন্তা করতেও পারে, তাই ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।
Comments
Post a Comment