Skip to main content

সার্চ ইঞ্জিন(SEO) কিভাবে কাজ করে?



সার্চ ইঞ্জিন একটি টুল। যা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোকে পজিশন প্রদান করে এবং মানুষ কোন কিছু সার্চ করলে তার রেজাল্টে ফলাফল প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন - কিভাবে seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন 

সার্চ ইঞ্জিন দুই ভাবে কাজ করে থাকে। প্রথম ইনডেক্স করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বা ওয়েব কন্টেন্ট দ্বিতীয় এলগোরিদাম। দ্বিতীয়ত এলগোরিদামের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েব কন্টেন্টকে Rank প্রদান করে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন কি?

সার্চ ইঞ্জিন হল এক ধরনের সফটওয়্যার সিস্টেম যা ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা যায়।

সার্চ ইঞ্জিন একধরনের ডিজিটাল লাইব্রেরীরি যেখানে লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। যেখানে থেকে সার্চ করে নিদিষ্ট তথ্য বা বিষয় বের করা যায়।

সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করি তখন ইঞ্জিন এলগোরিদাম একটি নিদিষ্ট প্রোসেসের মাধ্যমে আমাদের কাছে সব থেকে রিলেটেড রেজাল্টি প্রকাশ করে।

সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য কি?

প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য হল তাদের গ্রাহকের সার্চ কোয়ারি অনুসারে সব থেকে রিলেটেড রেজাল্টি প্রদান করা। কারন তারা যেন তাদের মার্কেট শেয়ারটি ধরে রাখতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিনের উদ্দশ্য

ওয়া যাক, আপনি কোন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করলেন কিভাবে এসইও শেখা যায়, এখন গুগল ট্রেই করবে আপনার প্রশ্ন অনুযায়ি সব থেকে ভালো উত্তরটি খুঁজে বের করার। এখন যে সার্চ ইঞ্জিন সব থেকে ভালো রেজাল্টি আপনার জন্য প্রদান করবে আপনি সেই সার্চ ইঞ্জিনকে বিশ্বাস করবেন এটাই স্বাভাবিক।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটকে সবার জন্য বিনামূল্যে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) -কে সংক্ষেপে এসইও বলা হয়। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর জনপ্রিয়তা। অনেকেই এটাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়াতেSEO জানা অত্যাবশক। ইন্টারনেটে ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য SEO এর গুরুত্ব অপরিসীম।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের উদ্দেশ্য

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে-

  • একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য করা।

  • ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি।

  • সাইট ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি।

  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন আয় উপার্জনের জন্য একটি বেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

  • তথ্য বিনিময় এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।

২০ টি সার্চ ইঞ্জিনের নাম লিখুন

২০টি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নামগুলি হলো-

সার্চ ইঞ্জিন বাংলা 

বাংলা সার্চ ইঞ্জিনগুলি হলঃ 

  • খুঁজুন ডঢ কম

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নাম কি?

যদি আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন কোনটি প্রশ্ন করি, আমাদের সরাসরি উত্তর হবে, “গুগল”। কারণ, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার রয়েছে যা বর্তমানে প্রায় 92.47%। এবং, Google-এর পরে, Bing হল দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন যার মার্কেট শেয়ার প্রায় 2.71%।

বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিনের নাম কি?

পিপিলিকা ছিল একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন যা বাংলাদেশ থেকে তৈরি ও নিয়ন্ত্রিত। এটি ছিল বাংলাদেশ থেকে উদ্ভাবিত প্রথম সার্চ ইঞ্জিন, যেটিতে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তথ্য পাওয়ার সুবিধা ছিল।

বাংলাদেশের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন কোনটি?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিজস্ব ভাষায় তথ্য খোঁজার জন্য তাদের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। ইন্টারনেটে দুটি বাংলাদেশি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেখানে বাংলা ভাষায় তথ্য ও বাংলাদেশী বিষয় খোঁজার সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশি সার্চ ইঞ্জিন চরকি এপ্রিলে 'বাংলাদেশ খুঁজুন' স্লোগান নিয়ে চালু হয়েছিল।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে অর্থ আয় করে?

সার্চ ইঞ্জিন বিজ্ঞাপন প্রদান করার মাধ্যমে অর্থ আয় করে থাকে। কোন সার্চ ইঞ্জিনে যখন সার্চ করা হয় তখন দুই ধরনের রেজাল্ট প্রদর্শন হয়ে থাকে। এক পেইড রেজাল্ট দুই ফ্রি রেজাল্ট।

পেইড রেজাল্ট

আপনি অনলাইনে নতুন একটি শপ ওপেন করলেন। আমার অনলাইন শপ থেকে বিক্রয় করা যাবে যদি মানুষ আপনার শপটি সার্চ রেজাল্টে খুঁজে পায়। যেহেতু আপনার শপটি নতুন সুতরাং মানুষ আপনাকে খুব সহজে খুঁজে পাবে না। কারন আপনার মত হাজার হাজার শপ হোল্ডার আছে যারা অনেক দিন যবত অনলাইনে ব্যবসা করে আসতেছে।

এখন আপনি যদি চান যে আজ শপ ওপেন করলাম কালকে থেকে আমার বিক্রয় শুরু হোক তাহলে এর জন্য আপনাকে সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসতে হবে। সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসার জন্য আপনি গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনকে অর্থ প্রদান করবেন।

আপনি অর্থ প্রদান বা বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথমে নিয়ে আসতে পারবেন।

ফ্রি রেজাল্ট

আপনার ওয়েবসাইটি ভালো ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করতে পারলে একটি সময় পর। আপনার ওয়েবসাইটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের পেজের প্রথমে দিকে চলে আসবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সময় এবং আপনার ওয়েবসাইটের মান দুইটি বিষয় ঠিক রাখতে হবে।

ফ্রি রেজাল্ট নিয়ে আসতে সময় লাগে কিন্তু ফ্রি রেজাল্ট দিয়ে অনেক দিন যাবত ব্যবসা করা যায়। যদিও গুগল রেজাল্ট পরির্বতন করে থাকে। এই রেজাল্ট পরির্বতনের বিষয়টি অনেক গুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। এবং ফ্রি রেজাল্টের জন্য আপনাকে এসইও কাজ করতে হবে।

অবশ্য পেইড রেজাল্টের ক্ষেত্রে একটি বিষয় জড়িত আছে। তাহল আপনি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আসার পর কেউ আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে গুগল আপনার কাছ থেকে অর্থ নিবে। এই ধরনের এড গুলোকে সংক্ষেপে PPC (Pay-Per-Click) এড বলা হয়ে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে, জানা জরুরি কেন?

আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য এটা জানা খুবেই জরুরি যে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কন্টেন্ট কিভাবে খুঁজে পাবে, কিভাবে ইনডেক্স করে, এবং কিভাবে কন্টেন্টকে র‌্যাঙ্ক প্রদান করে।

আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্ট একটি ভালো মানের কিওয়ার্ডের জন্য র‌্যাঙ্ক করলে অধিক সার্চ ক্লিক পাবে আপনার ওয়েবসাইট।

আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি আপনার ব্যবসা হবে। কারন অনলাইন ব্যবসা সম্পূর্ণ ভাবে ওয়েব ভিজিটরের উপরের নির্ভর করে।

আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ রেজাল্টের পজিশন ওয়ানে থাকলে সার্চ কোয়ারির ৩১.৭৩% সার্চ ক্লিক পাবেন। দুই পজিশন ২৪.৭১% ক্লিক পায়, তৃতীয় পজিশনের জন্য ১৮.১৬%, চতুর্থ পজিশনের জন্য ১৩.৬০%, ৫ম পজিশনের জন্য ৯.৫১%, ৬ষ্ট পজিশনের জন্য পাবেন ৬.২৩% পজিশন, ৭ম স্থানের জন্য ৪.১৫%, ৮ম স্থানের জন্য ৩.১২%, ৯ম স্থানের জন্য ২.৯৭% এবং ১০ম স্থানের জন্য ৩.০৯% ক্লিক পায় ওয়েবসাইট গুলো।

গুগল কিভাবে পেজের পজিশন তৈরি করে?

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন এবং সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে পোষ্ট বা ওয়েবসাইট ইনডেক্স করে বিস্তারিত?

যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়। পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন কোনটি তাহলে আপনিও বলতে পারবেন গুগল। হ্যাঁ গুগল হল পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটের 92.4% গুগলের দখলে। বাকি 2.5% Bing, 1.5% Yahoo, 1.3% Baidu, DuckDuckGo 0.6%, Yandex 0.5% other 1.2%

প্রতিটি এসইও ওয়ার্কার এবং ওয়েবসাইট ওনার গুগলকে টার্গেট করে এসইও করে থাকে। কারন গুগল থেকে সব থেকে বেশি ভিজিটর পাওয়া সম্ভব।

গুগল কিভাবে একটি ওয়েবসাইট বা পেজকে ইনডেক্স করে নিচের ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন।

মোট ৫টি স্টেপে গুগল তার ইনডেক্সের কাজটি করে থাকে

  1. URLs
  2. Crawling
  3. Processing And Rendering
  4. Indexing
  5. Google Query Processor

Step 1. URLs ( ইউআরএল )

গুগল ক্রোলের শুরু হয় ইউআরএল থেকে। গুগল ক্রোলার আপনার ওয়েবসাইটের পোষ্টের ইউআরএল বিভিন্ন ভাবে খুঁজে পেতে পারে। সব থেকে কমন যে উপায় গুলো হল ইউআরএল খুঁজে পাওয়ার তা নিচে তুলে ধরা হল।

ব্যাকলিংক

আপনার পোষ্টোর লিংক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া গেলে গুগল বুঝতে পারে। এবং আপনার ইউআরএল কে ইনডেক্স করে থাকে।

তাই আপনার পোষ্টের লিংক যত বেশি ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হবে তত তাড়াতাড়ি আপনার পোষ্ট ইনডেক্স হবে। যে কোন পোষ্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার পর সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করলে গুগল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার পোষ্টটি ইনডেক্স করবে।

সাইট ম্যাপ

আপনার ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ থাকলে গুগল আপনার পোস্টের ইউআরএল খুঁজে পাবে তাড়াতাড়ি। আপনার ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ ক্রিয়েট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুল আছে যা ব্যহার করে আপনি ফ্রি সাইট ম্যাপ ক্রিয়েট করতে পারবেন।

আপনি ব্লগার থেকে ব্লগ তৈরি করলে Google Search Console ব্যবহার করে সাইট ম্যাপ সাবমিট করতে পারবেন। সাইট ম্যাপ কিভাবে সাবমিট করবেন এই নিয়ে পরর্বতীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

URL Submission

আপনার গুগল সার্চ Console Account থাকলে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের পোষ্ট গুগল সার্চ Console এর মাধ্যমে গুগলে সাবমিট করতে পারবেন।

URL Inspection করার পর যদি দেখেন যে আপনার ইউআরএলটি গুগলে ইনডেক্স হয়নি তাহলে ইউআরএলটি গুগলে ইনডেক্স করার জন্য লাইফ টেষ্ট করার পর রিকুয়েস্ট করতে পারবেন।

ইউআরএল কি?

URL (Uniform Resource Locator) ওয়েবসাইটে পোষ্ট করার সময় সেই পোষ্টির একটি ঠিকানা তৈরি হয়। যা হা সংক্ষেপে ইউআরএল নামে পরিচিত। যেমন এই পোষ্টির ইউআরএল টি নিচে দেখুন।

https://https://www.techowe.com//seo/seo-part-one/how-search-engines-work/

কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল তৈরি করতে হয় এই বিষয় গুলো নিয়ে পরর্বতীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

Step 2. ক্রোলিং

ক্রোলার হল এক ধরনের কম্পিউটার রোবট যা আপনার ওয়েবসাইট গুলো খুঁজে বের করে এবং ডাউনলোড করে। তবে গুগল রোবট সব সময় একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইট ক্রোল করবে তা কিন্তু নয়।

গুগল রোবট যে ভাবে পৃষ্ট গুলো ক্রোল করে-

  • The Page Rank of the URL

  • How Often the URL Changes

  • Whether or not it’s new

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ওয়েবসাইট পোষ্ট গুলো ক্রোল করার জন্য একটি সময় এবং সূচি তৈরি করে থাকে। তবে আপনার ওয়েবসাইট যদি বড় হয় তাহলে ক্রোলার পোষ্ট গুলো ক্রোল করার জন্য সময় নিয়ে থাকে।

Setp 3. প্রোসেসিং ( প্রক্রিয়াকরন )

গুগল বোঝারে জন্য পেজটির প্রোসেসিং করে যে আপনার লেখার আসল পয়েন্টটি কি। এবং গুগল কিভাবে একটি পোষ্টকে প্রোসেসিং করে এটা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারবে না। তবে উপরের চিত্রটি দেখে কিছু টা অনুমান করা যায় মাত্র।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শুধু মাত্র ভালোমানের কন্টেন্ট গুলো খুব তাড়াতাড়ি ইনডেক্সিং হয়ে থাকে। গুগল একটি কোড রান করে থাকে আপনার পোষ্টি সম্পর্কে বোঝার জন্য।

একজন রিডার আপনার পোষ্টটি কিভাবে পড়তে পারবে তা বোঝার জন্য গুগল কত গুলো কোড রান করে আপনার পোষ্টে। এবং পোষ্টি Rendering করার আগে এবং পরে কিছু কাজ করে থাকে গুগল।

Setp 4. ইনডেক্সিং

পোষ্ট ইনডেক্সিং হল সার্চ ইঞ্জিন তার নিজের সার্ভারে আপনার পোষ্টির লিপি বদ্ধ করা। যদি আপনার পোষ্টটি সার্চ ইঞ্জিনে লিপি বদ্ধ না হয় তাহলে ভিজিটর আপনার পোষ্টটি খুঁজে পাবে না।

একটা উদাহরন দেওয়া যাক, আপনি কোন ইউনির্ভারসিটির নিদিষ্ট ইউনিটে ভর্তি হলেন। এখন কেউ যদি সেই ইউনির্ভারসিটি গিয়ে আপনার বিভাবে খোঁজ করে সঠিক ভাবে তাহলে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

ঠিক একই ভাবে গুগলে কোন পোষ্ট একবার ইনডেক্স হলে আপনার পোষ্টটি গুগলে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আপনার পোষ্টটি ইনডেক্স না হলে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।

একটা বিষয় হল যখন আমরা সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু সার্চ করি তখন কিন্তু সেই নিদিষ্ট ওয়েবসাইট টি খোঁজ করি না। আমার খোঁজ করি কোন তথ্য বা উপাত্তের।

সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটের পোষ্টটি যদি ইনডেক্স না হয় তাহলে সেটা সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হওয়াটা জরুরি।

Setp 5. গুগল কোয়েরি প্রসেসর

এটি শেষ অংশ। এইভাবে আমাদের অনুসন্ধান ফলাফল প্রসেসিং করা হয়। ক্যোয়ারী প্রসেসর কয়েকটি অংশে বিভক্ত - ইউজার ইন্টারফেস, কোয়েরি ইঞ্জিন, রেজাল্ট ফরম্যাটার ইত্যাদি। গুগলের ওয়েবপেজ র‌্যাঙ্কিং সিস্টেমকে পেজর‍্যাংক বলা হয়। যে পেজের পেজর‍্যাঙ্ক যত বেশি হবে, সার্চের ফলাফলে এটি তত বেশি প্রদর্শিত হবে। যেহেতু Googlebot পাঠ্যের সাথে পৃষ্ঠার কোড ক্রল করে, তাই ব্যবহারকারী সার্চ টার্মের অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেন সেটা লিংকে থাকবে,টাইটেলে থাকবে না টেক্সটে থাকবে। Google এর অনুসন্ধান ফলাফলের গুণমান এত বেশি কারণ এটি শুধুমাত্র টার্মের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে ফলাফল প্রদান করে না।

শেষ কথা - সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে? 

আজকের আর্টিকেলে আমরা এসইও এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জানলাম। গ্রাহক ছাড়া একটি দোকানের যেমন অবস্থা, ভিজিটর ছাড়া একটি ওয়েবসাইট ঠিক তেমনি। আর ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আনতে SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং বাড়াতে চান তাহলে এসইও-এর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিন।

আজকের লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ