Skip to main content

ডেটাবেজ (Database) কি ? ডেটাবেজ এর ধারণা ও ব্যবহার

ডেটাবেজ

আমরা যারা প্রযুক্তিতে একটু আগ্রহী তারা সবাই ডাটাবেস শব্দের সাথে পরিচিত কিন্তু কেউ যখন আমাদেরকে ডাটাবেস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করে তখন আমরা সঠিকভাবে বলতে পারি না।

আজ আমি এই আর্টিকেলে খুব সহজে ডাটাবেস সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক বিষয় ব্যাখ্যা করব।

আজকে আপনারা জানবেন ডাটাবেস কি এবং কত প্রকার, রিলেশনাল ডাটাবেস কি, কম্পিউটার ডাটাবেস কি, কিভাবে ডাটাবেস তৈরি করতে হয়।

Data কি ?

আপনি যদি ডাটাবেস সম্পর্কে জানতে চান তবে প্রথমে আপনাকে ডেটা কী তা জানতে হবে।

আমরা কম বেশি সবাই জানি ডাটা আসলে কি। সহজে বলতে গেলে ডাটা বলতে কোনো কিছুর information কে বোঝায়। 

আপনার ক্ষেত্রে ডাটা কি হতে পারে ? আপনার নাম ,ইমেইল ,ঠিকানা। ফোন নম্বর ইত্যাদি এক একটি ডাটা।

আবার, একটি স্কুলের ক্ষেত্রে, তার ছাত্রদের ব্যক্তিগত তথ্য এক ধরনের ডেটা।

আবার একটি ব্যাঙ্ক এ কাস্টমারের ব্যাঙ্ক detailsই হলো ডাটা। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে ডাটা রয়েছে সুতরাং একটি স্কুলের যেমন ডাটা রাখার প্রয়োজন রয়েছে তেমনি একটি ব্যাংকেরও ডাটা কোথাও জমা রাখার প্রয়োজন রয়েছে।এই সমস্যাটি সমাধান করে ডাটাবেস। 

ডেটাবেজ কি?

ডেটা শব্দের অর্থ উপাত্ত এবং বেস শব্দের অর্থ ভিত্তি বা সমাবেশ। একটি ডাটাবেস হল এক বা একাধিক আন্তঃসম্পর্কিত ডেটা ফাইলের সংগ্রহ। একটি প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য ঐ প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে।

ডাটাবেস হল একটি তথ্য স্টোরেজ সিস্টেম, যেখানে related তথ্য প্রথমে সংগ্রহ করা হয়, সেগুলিকে সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে অ্যাক্সেস করা হয়।

পুরনো দিনে অফিসে, স্কুলে, কলেজে গিয়ে দেখে থাকবেন অনেক ফাইল ডাটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হতো, এমনকি অনেক পুরনো সিনেমাতেও থানা থেকে পুরনো ফাইল তোলার দৃশ্য দেখা যায়।

কিন্তু আজকাল ফাইলিং একেবারেই চলে গেছে। এটি ডাটাবেস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, যেখানে আপনি শুধুমাত্র ইন্টারনেট এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই পুরোটাই পুরো ব্যাপারটাই হয় ডিজিটাল। 

ডাটাবেজ এর বৈশিষ্ট্য

  • একটি ডাটাবেস তৈরি করার পরে এটি আপডেট করা দরকার যাতে আরও নতুন ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।

  • লাইব্রেরিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের বই যেমন নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়, তেমনি ডাটাবেজে সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধভাবে সাজানো খুবই জরুরি। কারণ সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাত্ত খুব সহজেই পাওয়া যায়।

  • তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি ডিজিটাল মেমোরি ডিভাইস হার্ডডিস্ক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করা হয় বা ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সাহায্য নেওয়া হয়।

ডাটাবেসের বিভিন্ন উপাদান

প্রথম ক্ষুদ্রতম একক হল:

  • বিট: কম্পিউটার দ্বারা ব্যবহৃত ডেটার ক্ষুদ্রতম অংশকে বিট বলা হয় যেমন: 0,1 একটি বিট।

  • বাইট: 1 বাইট 8 বিট দিয়ে তৈরি: 1টি অক্ষর 1 বাইট দিয়ে তৈরি, সংখ্যা বা প্রতীক বোঝা যায়।

  • ক্ষেত্র: একাধিক অক্ষরের সংমিশ্রণে 1টি শব্দ বা সংখ্যা গঠিত হয় যাকে ক্ষেত্র বলা হয়। যেমন: একজন ব্যক্তির নাম বা বয়স একটি ক্ষেত্র হতে পারে

  • রেকর্ড: আন্তঃসম্পর্কিত ফাইলগুলির একটি গ্রুপকে রেকর্ড বলা হয়। যেমন: শিক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, নেওয়া সমস্ত বিষয় একসাথে রেকর্ডের অধীনে রয়েছে

  • ফাইল: ফাইল অনেক অনুরূপ রেকর্ড দিয়ে গঠিত হয়।

  • ডেটাবেস: একই কাজের অনেক ফাইল একসাথে একটি ডাটাবেস তৈরি করে।

ডাটাবেজ  ব্যবহারের সুবিধা

ডাটাবেস ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ডেটা খুব দ্রুত উপস্থাপন করা যেতে পারে।

  • ডেটা খুব দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা যেতে পারে।

  • সংরক্ষিত ডেটা পরে আপডেট করা সহজ।

  • ডাটাবেসের ডেটা প্রয়োজন অনুসারে আরোহী এবং অবরোহ ক্রমে সাজানো যেতে পারে।

  • কম সময়ে ডেটা ফরম্যাটিং করা যায়।

  • একই ডেটা বারবার উপস্থাপনের প্রয়োজন নেই।

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সহজ।

  • ডেটা শেয়ার করা সহজ।

ডাটাবেজ  ব্যবহারের অসুবিধা

ডাটাবেস ব্যবহার করার নিম্নলিখিত অসুবিধা আছে:

  • ভুল তথ্য আইটেম সমগ্র ডাটাবেস মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে।

  • ডাটাবেস বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ মানব সম্পদ প্রয়োজন।

  • অনেক ডাটাবেস প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি ধীর।

  • দূরবর্তী ব্যবহারকারী ডাটাবেস ডেটা ব্যবহার করার সময় নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে।পরের সমস্ত উপাদানগুলির সাথে ভালভাবে যেতে হবে কারণ প্রতিটি ডাটাবেস এই 6 টি উপাদান দিয়ে তৈরি।

ডাটাবেজ ব্যবহারের ক্ষেত্র

আধুনিক বিশ্বে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ডেটাবেস ব্যবহার করা হয় না। চলুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সাথে। ডাটাবেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলো:

  • ব্যাংকিং: গ্রাহক, অ্যাকাউন্ট, ঋণ এবং লেনদেনের তথ্যের জন্য

  • বিমান: আসন সংরক্ষণের জন্য, সময়সূচী তথ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে।
  • মানব সম্পদ: এতে কর্মচারীর তথ্য, বেতন, ট্যাক্স, ভাতা, চেক পেমেন্টের তথ্য এবং অন্যান্য সুবিধার তথ্য রয়েছে।

  • বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীদের তথ্য, কোর্স নিবন্ধন এবং গ্রেডের জন্য 

  • ক্রেডিট কার্ড লেনদেন: ক্রেডিট কার্ড কেনাকাটা, লেনদেন এবং মাসিক স্টেটমেন্ট প্রস্তুতির জন্য

  • টেলিকমিউনিকেশন: টেলিফোনকলের তথ্য বজায় রাখতে, মাসিক বিল প্রস্তুত করতে, প্রিপেইড কলিং কার্ডের ব্যালেন্স বজায় রাখতে এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের তথ্য বজায় রাখতে।

  • আর্থিক: বিক্রয়, ক্রয়, আমানত, স্টক এবং বন্ডের মতো আর্থিক তথ্যের রেকর্ড রাখা

  • বিক্রয়: গ্রাহক, পণ্য, ক্রয় তথ্য ধারণ করার উদ্দেশ্যে

  • ম্যানুফ্যাকচারিং: কারখানায় সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এবং উৎপাদন তথ্য, গুদাম বা গুদাম জায় বা বস্তুগত তথ্য, ফরম্যাট করা পণ্যের তথ্য সংরক্ষণ করা ইত্যাদি।
  • তথ্য ব্যবস্থাপনা: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেমন নির্বাচন কমিশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, শিক্ষা ব্যুরো, রাঙ্গুনী উন্নয়ন ব্যুরো, কৃষি উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ইত্যাদি।
  • বৈজ্ঞানিক গবেষণায়: বিজ্ঞান ও গবেষণায় বিভিন্ন কাজে সিমুলেশন এবং ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়।

ডাটাবেসের কাজ (functions of database)

  • ডেটাবেসগুলি প্রধানত দ্রুত ডেটা খুঁজে পেতে এবং ডেটার খুব নিরাপদ স্টোরেজ প্রদান করে থাকে।

  • ডাটাবেসে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে, আমরা নির্দিষ্ট ডেটার প্রকৃতি এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি জানতে পারি, অর্থাৎ এটি কী ধরণের ডেটা।
  • বিভিন্ন  হিসেব-নিকেশ, বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের পরীক্ষার ফলাফল ইত্যাদি তৈরি এবং সংরক্ষণের জন্য ডেটাবেস ব্যবহার করা হয়।

 Database বলতে কী বোঝায় উদাহরণসহ-

ডাটাবেজ কি এ সম্পর্কে উপরের লেখাটুকু যদি আপনি কিছু বুঝতে না পারেন । তাহলে আরো সহজে আমি বোঝানোর চেষ্টা করছি। ডাটাবেস বলতে আসলে কি বোঝায়?

ধরুন কোনো একটি কলেজে 1000 জন স্টুডেন্ট রয়েছে। এখন তাদের নির্দিষ্ট রোল নাম্বার অনুযায়ী খাতা দেখে নাম্বার বসানো হলো।

প্রতিটি পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর, শ্রেণী, প্রাপ্ত নম্বর এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত বিবরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা মাইক্রোসফ্ট এক্সেল সি-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেসে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

এখন নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষার্থীরা তাদের রোল নাম্বার অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বর দেখে নিতে পারল ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে। অর্থাৎ এখানে ডাটাবেসের এক্সেস হচ্ছে একে বলা হয় accessing database 

সেই বিশেষ তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেসে যতক্ষণ ইচ্ছা সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

ধরুন যখন পরীক্ষার্থীরা তাদের রেজাল্ট দেখছিল যদি তাদের রোল নম্বর অনুযায়ী সঠিক ফলাফল না দেখানো হতো, তাহলে কি তা সঠিক হতো?

এই ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমগুলি ডেটা স্টোরেজ থেকে ডেটা অ্যাক্সেস পর্যন্ত সবকিছুর সুবিধা দেয়।

তাহলে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি? এ সম্পর্কে জানার পর আমাদের জানতে হবে ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার কি।

ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS কি ?

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System/DBMS) এর পুরো শব্দটি দেখে আমরা এমন একটি সিস্টেম বুঝতে পারি যেখানে যে কোনও ধরণের ডেটা সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা এবং খুব সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।

ডিবিএমএস একটি ডাটাবেস প্রোগ্রামিং সফ্টওয়্যার প্যাকেজ যা আপনার সমস্ত ডাটাবেস বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়।

এখন আমরা সবাই জানি যে ডাটাবেসে ডাটাবেস মেইনটেনেন্স, ডাটা এডিট, ডাটা রিমুভ, আপডেট করা যায় খুব সহজে।

তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বা ডাটাবেস প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার কোনগুলো?

ডাটাবেস এনভায়রনমেন্ট কি?

একটি ডাটাবেস এনভায়রনমেন্ট হল উপাদানগুলির একটি সম্মিলিত ব্যবস্থা যা সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার, মানুষ, ডাটাবেস ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি এবং ডেটা সহ ডেটা পরিচালনা এবং ব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত এবং নিয়ন্ত্রণ করে।

এখানে, ডাটাবেস এনভায়রনমেন্টের হার্ডওয়্যার মানে কম্পিউটার এবং কম্পিউটার পেরিফেরাল যা ডাটাবেস পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সফ্টওয়্যার মানে MS দিয়ে শুরু হওয়া অপারেটিং সিস্টেম (OS)। অ্যাকসেস বা এসকিউএল সার্ভারের মতো ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার অন্তর্ভুক্ত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম পর্যন্ত সম্পূর্ণ জিনিস। আবার একটি ডাটাবেস পরিবেশের লোকেদের অন্তর্ভুক্ত যারা সিস্টেম পরিচালনা করে এবং ব্যবহার করে। কৌশলগুলি হল নিয়ম, ধারণা এবং নির্দেশাবলী যা মানুষ এবং সফ্টওয়্যার উভয়ের কাছে প্রেরণ করা হয়।

ডাটাবেস প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার (DBMS Software)

আজকাল ব্যবহারযোগ্য অনেক ডাটাবেস প্রোগ্রামিং সফ্টওয়্যার রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -

dBase

প্রথম DBMS সফ্টওয়্যার ছিল dBase. এটি একটি উচ্চ গুনসম্পন্ন সফটওয়্যার ছিল। 

1980 সালে অ্যাশটন-টেট কোম্পানি মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য এই সফ্টওয়্যারটি প্রকাশ করে। এটি মাইক্রোকম্পিউটার OS এর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

এই সফ্টওয়্যারটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল যেমন – ডাটাবেস ইঞ্জিন, ক্যোয়ারী সিস্টেম, ফর্ম ইঞ্জিন।

পরবর্তীতে এই DBMS সফটওয়্যারটি Apple ও IBM PC দুই জায়গায় ব্যবহার করা হয় এবং এক সময় এই সফটওয়্যারটি বেস্ট সেলিং সফটওয়্যারের খেতাব পায়।

Foxpro 

Fox software দ্বারা publish করা foxpro একটি object oriented programming বেসড DBMS software . ২০০৭ সালে Microsoft windows এর সাথে প্রতিযোগিতায় না পেরে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

Oracle 

ওরাকল কর্পোরেশনের তৈরি এই সফটওয়্যারটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। ল্যারি এলিসন এবং তার সহকর্মীরা ওরাকল কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

এই সফ্টওয়্যারটি একটি অবজেক্ট-রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফ্টওয়্যার তাই একে ওরাকল RDBMSও বলা হয়।

মাইএসকিউএল/MySQL

MySQLএর পূর্ণরূপ হল Structured Query Language। এই DBMS সফ্টওয়্যারটি একটি অবজেক্ট-রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফ্টওয়্যার।

সফটওয়্যারটি M. Widenius-এর মালিকানাধীন MySQL AB কোম্পানির তত্ত্বাবধানে 1995 সালে তৈরি করা হয়েছিল।

পরে oracle corporation এটিকে কিনে নেয়।

Database Operational Term

Insert/সন্নিবেশ - Insert মানে একটি ডাটাবেসে কোনো তথ্য জমা করা বা সন্নিবেশ করা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি ছাত্র ডাটাবেসে রোল নম্বর, ক্লাস, ঠিকানা ইত্যাদি সংরক্ষণ করেছেন।

Update/হালনাগাদ - আপডেট করা মানে ডাটাবেসের ডেটাতে আরও তথ্য যোগ করে এটিকে আধুনিক বা উপযোগী করে তোলা। ঠিকানা বা সময় শিক্ষার্থীদের ডাটাবেসে আপডেট করা যেতে পারে।

Delete - ডাটাবেসে  কোনো তথ্য না রাখতে চাইলে ডিলিট করা যায়। 

Store  - ডাটাবেসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা সংরক্ষণ করা।

অ্যাক্সেস - যদি কেউ অনুসন্ধান করে, তার ফলাফল হিসাবে অবিলম্বে তার কাছে ডেটা চলে আসবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি গুগলে অনুসন্ধান করেন তবে তথ্যগুলি গুগল ডেটাবেস থেকে বেরিয়ে আসে।

ডাটাবেস মডেল কি ?

ডাটাবেজ সম্পর্কে যতটুকু জানলেন তার সারসংক্ষেপ হলো যে ডাটাবেজে তথ্য জমা থাকে। এখন আমরা জন্য ডাটাবেজ মডেল কি?

ডাটাবেসে যে ডাটা জমা থাকে সেই ডাটাকে অ্যাক্সেস করে বের করে আনতে যে রুল কাজ করে বা যে মডেল অনুযায়ী ডাটাগুলি বেরিয়ে আসে তাকে ডাটাবেস মডেল বলা হয় 

ধরুন  – কোন ব্যাংক এর কাস্টমারদের যে নিয়ে যে ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে সেখানে । সব কাস্ট মারের একাউন্ট নম্বর কোনো একটি টেবিলে ,ঠিকানা অন্য একটি টেবিলে সেভ করা হয়েছে । আবার তাদের ফোন নম্বর অন্য টেবিলে এবং তাদের ব্যালেন্স আর একটি টেবিলে ।

এখন ডাটাবেসটি ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবার কোনো একটি কাস্টমার তার একাউন্ট নম্বর দিয়ে যদি সার্চ দেয়, তাহলে তার নাম ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যালেন্স সব  দেখাবে একটি পেজে।

এখানে প্রতিটি টেবিলকে একটি নিয়মের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে প্রতিটি টেবিল থেকে সমস্ত গ্রাহকের বিবরণ প্রদর্শিত হয়।

এখন যদি টেবিলগুলি কানেক্টেড না থাকতো তাহলে কাস্টমারের ঠিকানা ভুল দেখাতো বা অন্য কারুর দেখাতো ,ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ও অন্য কারুর দেখাতো। তাই ডাটাবেসের ডাটা এক্সেস করার জন্য বিভিন্ন মডেল কাজ করে। 

ডাটাবেস মডেল এর প্রকার (Database model types)

ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে প্রচুর মডেল রয়েছে।যেমন – 

  • Hierarchical database model 

  • Relational model

  • Network model

  • Object-oriented database model

  • Entity-relationship model

  • Document model

  • Entity-attribute-value model

  • Star schema

  • The object-relational model

এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গুরুত্তপূর্ণ ডাটা মডেল হলো –Hierarchical model, Relational model,Network model  তাই আজ এগুলো নিয়ে খুব সহজে আপনাদের বোঝাব । 

Hierarchical Model  বা শ্রেণীবদ্ধ মডেল 

এই হায়ারার্কিক্যাল মডেলটি কিছুটা উল্টানো গাছের মতো, যেমন একটি গাছের কাণ্ড থেকে বিভিন্ন শাখাপ্রশাখা বেরিয়ে আসে।

এটাকে কিছুটা family tree এর মতো  দেখতে লাগে। তাই ফ্যামিলিট্রি অনুযায়ী ভাবলে এই মডেলের একটি root রয়েছে এবং প্রত্যেক চাইল্ড নির্দিষ্ট অর্ডারে সাজানো এবং তাদের প্রত্যেকের সিঙ্গেল parent রয়েছে। 

ডাটাবেসে প্রতিটি অপশনকে একটি ডাটা টেবিল হিসাবে কল্পনা করতে হবে।

 60-70 এর দশকে, IBM কোম্পানির তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলি তাদের নিজস্ব কাজে এই মডেলটি ব্যবহার করেছিল, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কারণে ব্যর্থ হয়েছিল।

Network Model বা নেটওয়ার্ক মডেল 

Hierarchical Model এর থেকে কিছুটা অ্যাডভান্স হলো নেটওয়ার্ক মডেল। এটি ম্যাথমেটিক্স এর set theory দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এখানে চাইল্ড প্যারেন্ট রিলেসনগুলো একে ওপরের সঙ্গে connected রয়েছে।

Data Systems Languages এর কনফারেন্সে Network Modelকে define করার পর এটি 70এর দশকে খুবই জনপ্রিয় একটি মডেল হয়ে ওঠে । 

Relational Model সম্পর্কিত বা রিলেশনাল মডেল 

ডাটাবেস মডেলের ধরনগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর মডেলগুলির মধ্যে একটি হল রিলেশনাল মডেল।

এই মডেলটি সাধারণত structured  table অনুযায়ী হয়ে থাকে। আর এই টেবিল গুলোকে ডাটাবেসের ভাষায় এক একটি রিলেশন বলা হয়ে থাকে। 

প্রত্যেকটি টেবিলে সারি বা row ও কলাম রয়েছে যেখানে ডাটা স্টোর করা হয়। প্রত্যেক column এ অনেক attribute লিস্ট করা থাকে ,যেমন -price ,date of birth,zip code ইত্যাদি। এই সম্পর্ক সারণীতে থাকা বৈশিষ্ট্যগুলিকে সমষ্টিগতভাবে ডোমেন বলা হয়।

যখন একটি রিলেশন টেবিলের একটি নির্দিষ্ট অ্যাট্রিবিউটকে প্রাইমারি কী হিসাবে রেখে অন্য টেবিলের সাথে লিঙ্ক করা হয় তখন তাকে  foreign key বলে।

একটি রিলেশন বা টেবিলের প্রতিটি সারি একটি tuple বলা হয়।

ডাটাবেসের টেবিলগুলোকে অনেকটাই স্বাভাবিক করা যায়, অর্থাৎ প্রতিটি ডাটার টুকরো অনুযায়ী টেবিলগুলো ভাঙলে যে ডাটা পাওয়া যায় তা খুবই উপযোগী।

তাই এই রিলেশনাল মডেল সবসময় নমনীয়, মাপযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য।

EF Codd 1970 সালে এই মডেল তৈরী করেন। এই মডেলটি সাধারণত Structured Query Language বা SQL দিয়ে লেখা হয়ে থাকে। 

রিলেশনাল ডাটাবেস মডেলের প্রকার

রিলেশনাল ডাটাবেস মডেলকে আবার বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায়। যেমন – 

One to One রিলেশন 

যখন একটি ডাটাবেস টেবিলের একটি রেকর্ড অন্য ডাটাবেস টেবিলের শুধুমাত্র একটি রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত হয়, তখন একে বলা হয় One to One রিলেশন।

One to Many রিলেশনাল

যখন একটি ডাটাবেস টেবিলের একটি রেকর্ড অন্য ডেটাবেস টেবিলের একাধিক রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত হয়, তখন তাকে এক থেকে বহু সম্পর্ক বলে।

Many to One রিলেশনাল

যখন, ডেটাবেজের একটি টেবিলের অনেকগুলি রেকর্ড অপর একটি ডেটাবেস টেবিলের কেবল মাত্র একটি রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত থাকে,তখন তাকে Many to One রিলেশন বলে ।

Many to Many সম্পর্ক – যখন একটি ডাটাবেস টেবিলের অনেক রেকর্ড অন্য ডাটাবেস টেবিলের অনেক রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত হয়, তখন তাকে  Many to Many সম্পর্ক বলে।

 সবশেষে ডেটাবেজ

ইন্টারনেটের পরিধি যত বাড়ছে ,ব্যাবহারকারীর ডাটাও বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। তাই ডাটা জমা রাখতে ডাটাবেসের দরকার পড়ছে। আগামী দিনে হার্ডডিস্কএ ডাটা সেভ ছাড়াও অনলাইন ডাটাবেসের  এর চাহিদা খুবই  বৃদ্ধি পাবে।



Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ