Skip to main content

কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করবেন

 এখনকার সময়ের সকল অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই স্ক্রিন নেভিগেশন ফিচার চালু রয়েছে এবং এই স্ক্রিন নেভিগেশন এর সাথে পিজিক্যাল নেভিগেশন বাটনের বেশ পার্থক্য ও সমালোচনা রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে বাটনবিহীন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকাটাই বেশি সুবিধাজনক। কিন্তু, এমন অনেক অসতর্ক মানুষ রয়েছে যারা হোম, ব্যাক আর মাল্টিটাস্কিং বাটন এর তিনটি নেভিগেশন বাটন দিয়ে কাজ চালাতে পারেন না। বা মূল কথা হল তাদের কাস্টমাইজড নেভিগেশন বার এর প্রয়োজন হয়। নেভিগেশন বার এবং নেভিগেশন বাটন দুইটি একইরকম ভাবে কাজ করে, তবে সবাই হয়তো জানেন না যে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজও করা সম্ভব। আপনারা সবাই হয়তো ভাবছেন যে কিভাবে নেভিগেশন বার নিজে কাস্টমাইজ করা সম্ভব। হয়তো উদগ্রীব এই বিষয়ে জানার জন্য। হ্যা সেজন্যই আজ আপনাদের সামনে এই পোস্ট নিয়ে এসেছি। LG এবং HTC তাদের ফোনে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজেশনের সুবিধা চালু রেখেছে আগে থেকেই। তাই অন্যান্যা ফোনে কিভাবে এই সুবিধা চালু করা যায় সেই সম্বন্ধে আমাদের আজকের আলোচনা।


সম্ভবত গুগল আমার আপনার এই আলোচনা সম্বন্ধে কোথাও থেকে খোজ পেয়ে গিয়েছে। এজন্যই গবেষনাকারীরা নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করার একটি কোড খুজে বের করেছেন যেটা অ্যান্ড্রয়েড নগাট এ কার্যকর। এই কোড এর মাধ্যমে আপনার নেভিগেশন বারের চেহারা, কার্যকারীতা এবং এর বাটনগুলোও কাস্টমাইজ করতে পারবেন। আপনার যদি Nexus 6P ফোন থেকে থাকে, আপনি এখনই এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ একটিমাত্রে জিপ ফাইল ফ্ল্যাশ করার মাধ্যমেই এখানে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করা যায়। 


যাইহোক, আমরা জানিনা যে অ্যান্ড্রয়েড কবে তাদের ফোনগুলোতে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ এর সুবিধা নিয়ে আসবে, এবং সেই নেভিগেশন বারে কি কি ফিচার থাকবে। সেই অবধি, আমরা আপনাদের রুটেড এবং নন রুটেড ফোনে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করার উপায় আজকের পোস্টে দেখাব:


Navbar ব্যবহার করে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করুন

Navbar একটি সুন্দর নতুন ফ্রি এপ্লিকেশন যেটা আপনাকে আপনার নেভিগেশন বারের চেহারায় নতুন রঙ এবং অন্যান্য বেশকিছু জিনিস এডিট করার সুবিধা দেয়। কিন্তু অবশ্যই এই নেভিগেশনগুলো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিদ্যমান থাকতে হবে। এটা নন- রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে খুব সুন্দরমতো কাজ করে। আসুন দেখা যাক কিভাবে নন-রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করা যায়:


১. প্রথমে, Navbar এপ্লিকেশন ইনস্টল করার পর ওপেন করার সময় আপনার কাছে Accessibility permissions চাইবে যেটা আপনাকে চালু করতে হবে।



২. এইকাজ হয়ে যাবার পর, Navbar এপ্লিকেশন আপনাকে আপনার নেভিগেশন বার  এর কালার এখানকার "স্ট্যাটিক কালার" দ্বারা বদলানোর সুবিধা দেবে। আপনি যদি বর্তমানে চালিত এপ্লিকেশন এর কালার ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি "Active app" অপশন সিলেক্ট করে কালারটি সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়া আপনি অন্যান্য প্রায় সকল কালার এখানে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি যেসকল  এপ্লিকেশনে তা ব্যবহার করতে চান বা অনুমতি রয়েছে। 


৩. আপনি এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনার নেভিগেশন বারে উইডগেটও যুক্ত করতে পারবেন। এই সময়ে আপনি শুধু ব্যাটারি, এবং ছবি দেখার সুবিধাটুকু পাবেন তবে ভবিষ্যতে মিউজিক প্লেয়ার বা আরও কিছু সুবিধা আসতে চলেছে। আপনি চাইলে এখানকার ফিচার নিজের মতো কাস্টমাইজ করতে পারবেন কিন্তু এসব সুবিধার জন্য আপনাকে এর প্রিমিয়াম ভার্সন (০.৯৯ ডলার) দিয়ে কিনতে হবে। 


আসলে  Navbar এপ্লিকেশনে আপনি আপনার নেভিগেশন বারর এর জন্য বেশ ভালো সুবিধাই পাবেন তবে যদি আপনি আরও বেশি সুবিধা বা কোন বিশেষ সুবিধার খোজ করে থাকেন, তবে দুঃখের বিষয় যে নন-রুটেড ফোনে এর চেয়ে বেশি সম্ভব নয়। 


রুটেড ফোনে আপনার নেভিগেশন বার বিভিন্নভাবে কাস্টমাইজ করুন (Gravity Box) ব্যবহার করে)

আপনার স্মার্টফোন যদি রুটেড হয়ে থাকে, আপনি Gravity Box এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনার নেভিগেশন বারে আরও কিছু কাস্টমাইজেশন করতে পারেন। আসুন দেখা যাক কিভাবে আপনি Gravity Box এপ্লিকেশন ব্যবহার করে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করতে পারবেন :


১. প্রথমেই আপনাকে Xposed Installer এর এপিকে ফাইল ইনস্টল করতে হবে। 


২. এরপর এপ্লিকেশনটির ডাউনলোড সেকশনে আপনি ফোন ভার্সন অনুযায়ী এর বিভিন্ন ভার্সন পাবেন। আপনার প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন ভার্সন ইনস্টল করুন।


৩. Gravity Box ইনস্টল করার পর আপনি একটি নোটিফিকেশন প্রম্পট পাবেন। এখানে মডিউল চালু করা এবং ফোন রিবুট করার কথা বলা হবে। এখানে ট্যাপ করুন, "Gravity Box" সিলেক্ট করুন এবং এরপর ফোন রিবুট করুন। 


৪. এরপর ডিভাইস রিস্টার্ট করার পর, Gravity box এপ্লিকেশন চালু করুন এবং " Navigation Bar Tweaks " এ ক্লিক করুন। এখানে, "Master Switch" অপশন চালু করুন। যাতে রিবুট করার কারণে আপনার সকল ব্যবহারকৃত ফিচারগুলো চালু হয়ে যায়। 


৫. এই কাজ সম্পাদন এর পর, আপনি এখানে বিভিন্ন অপশন চেক করতে পারবেন, যেমন - Always Show menu key, swap back & recent keys, add custom keys, use larger icons, enable colors, change the navigation bar's height, width এবং আরো অনেক কিছু কাস্টমাইজ করতে পারবেন। 


৬. আপনি "Navigation keys action" এ গিয়ে নেভিগেশন বার এর ফিচার কাস্টমাইজ করতে পারবেন। আপনি সিংগেল ট্যাপ, ডাবল ট্যাপ, এবং লং ট্যাপ, হোম, মেনু, ব্যাক ইত্যাদি কাস্টমাইজও চাইলে করতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও আপনি চাইলে থার্ড পার্টি এপ্লিকেশনের বিভিন্ন একশনও কাস্টমাইজ করতে পারবেন। 


এরপর আপনি সাধারণভাবে আপনার ফোন রিবুট করবেন। এরপর চেক করুন যে আপনার কাস্টমাইজ করা সেটিংগুলো সব ঠিকঠাক চালু হয়েছে কিনা। আশা করা যায় যে সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করবে। তবু যদি কোন সমস্যায় পড়েন, তাহলে Gravity Box এর অন্য একটি ভার্সন ইনস্টল করে দেখতে পারেন। 


আপনার নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করে ফোন ব্যবহারে নতুনত্ব নিয়ে আসুন

আপনি নিশ্চয় খেয়াল করেছেন যে রুটেড ডিভাইসে নন রুটেড ডিভাইসের চেয়ে বেশি কাস্টমাইজেশন করা সম্ভব। আসলে এটা রুটেড ফোনের বিশেষ কিছু সুবিধার অন্তর্ভুক্ত। তবে কম সুবিধা হলেও এখন নন রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করা সম্ভব। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই গুগল তাদের নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করার বিল্ট-ইন ফিচার চালু করবে এবং সকল ফোনের সকল ভার্সনে এই সুবিধা চালু হবে। তবে সেই অব্দি আপনারা উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে নেভিগেশন বার কাস্টমাইজ করতে পারবেন। 


আজকের মতো এইটুকুই, আপনারা অবশ্যই আমাদের আজকের পোস্ট সম্বন্ধে কমেন্ট বক্সে মতামত জানাবেন। আমরা অপেক্ষায় থাকব এবং পরবর্তী পোস্টে আমরা আবার আপনাদের কাছে নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হবো। 


সবাইকে শুভকামনা!

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ