Skip to main content

Posts

মহান মে দিবস | আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস যা সাধারণত মে দিবস নামে পরিচিত। প্রতি বছর মে মাসের ১ তারিখ পালিত হয় 'আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস' বা 'মে দিবস'। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপনের দিন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলো রাজপথে সংগঠিত মিছিল-শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। ১লা মে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন। অন্যান্য অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়। এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। দিনের পর দিন লড়াই এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দিবসটি এই দিনটি সারা বিশ্বের শ্রমিকদের কাছে এক গৌরবময় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১ মে। মহান মে দিবস। বঞ্চিত খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নেওয়ার দিন। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকরা ১৮৮৬ সালের এই দিনে বুকের রক্ত দিয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাই সকল শ্রমিক-মেহনতি মানুষের কাছে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস - ফিরে দেখা ১৩২ বছর আগে শ্রম ঘণ্টা কমিয়ে আনার দাবিতে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক

গোলমরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা

গোলমরিচ একটি বহুবর্ষজীবী লতা যা ফলবেরি নামে পরিচিত। গোলমরিচের ফল গোলাকার, এটি কাঁচা থাকলে গাঢ় সবুজ এবং পাকলে হলুদ থেকে লাল হয়। এতে একটি মাত্র বীজ থাকে। মরিচ দুই প্রকার, সাদা ও কালো। আধা পাকা বীজ শুকিয়ে গেলে কালো মরিচ। গোলমরিচের বীজ সম্পূর্ণ পাকলে উপরের কালো চামড়ার খোসা ছাড়িয়ে সাদা গোলমরিচ পাওয়া যায়। গোলমরিচের গুঁড়া প্রাচীনকাল থেকেই মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গোলমরিচকে  মশলার রাজা বলা হয়। কারণ গোলমরিচের মতো আর কোনো মসলা নেই। গোলমরিচ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Pepper nigrum. আমরা প্রায়ই উপকারিতা না জেনে গোলমরিচ খেয়ে থাকি। গোলমরিচের অনেক গুণ রয়েছে। গোল মরিচ আমাদের কাছে মসলা হিসেবে পরিচিত। খাবারকে সুস্বাদু ও মজাদার করতে এসব উপাদানের বিকল্প নেই। কাচ্চি, তাহারি এবং স্যুপ সহ সুস্বাদু খাবারে মরিচ ব্যবহার করা হয়। এই মরিচ যেমন তাজা তেমনি স্বাদ ও গন্ধেও অতুলনীয়। তবে শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, মরিচ স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। আসুন জেনে গোলমরিচের  স্বাস্থ্য উপকারিতা  1. গোলমরিচ ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস।  এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, নিয়াস

যেভাবে শিশুদের শিষ্টাচার শেখাবেন

প্রতিটি পরিবারই শিশুদের ভালোবাসে। শিশুদের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে উঠুক সেটা কে না চায়? কিন্তু কোন বয়সে কীভাবে শিশুকে লালন পালন করলে ভালো অভ্যাসগুলো তৈরি করা যায়, সেটা আমাদের অনেকেরই সঠিকভাবে জানা থাকে না। কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করে খুব সহজেই শিশুর মধ্যে আদব-কায়দা, নিয়ম-শৃঙ্খলা ও ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।  আমরা যদি একটি চারাগাছের তাকাই তাহলে কি দেখবো? চারাগাছকে মাটির সঙ্গে রোপন করার জন্য চাই বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যা। তবে একবার চারাগাছটি মাটির সঙ্গে শক্তভাবে গেঁথে গেলে পরবর্তী সময়ে গাছটির জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। তা না হলে বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যার অভাবে গাছটি দুর্বলভাবে বেড়ে ওঠে। মানবশিশুর ক্ষেত্রেও কথাটি একইভাবে প্রযোজ্য। জন্মের প্রথম বছরগুলোতে শিশুর প্রতি মনোযোগ, শিশুকে সময় দেয়া, ভালো অভ্যাস শিশুর সারা জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। কারণ শিশুরা তাদের বাবা-মাকে দেখেই তাদের অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে শেখে, জীবনে উন্নতি লাভ করে। বাবা-মায়েরাই সব সময় তাদের শিশুদের জন্য প্রথম উদাহরণ হন। তারা এমন একজন- শিশুরা কোনো সমস্যায় পড়লে যাদের কাছে যায়, তাদের স্বভাব ও অভ্যাসগুলোই শিশুরা তাদের জীবনে প্রাথমিকভাবে গ্রহ

ইয়াবা (একটি উত্তেজক মাদকদ্রব্য)

এক ধরনের মাদক। এটি মেথামফেটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণ। ইয়াবা মূল শব্দটি থাই ভাষা থেকে এসেছে। এর বাংলা অর্থ ‘পাগলা ওষুধ’। অনেকে একে ‘Crazy  Medicine ’ বলে থাকেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইয়াবা আবিষ্কৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সৈন্যদের ক্লান্তি দূর করতে জার্মান প্রেসিডেন্ট অ্যাডলফ হিটলারের নির্দেশে ইয়াবা উদ্ভাবন করা হয়। দেশটির বিজ্ঞানীরা পাঁচ মাসের প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করেছেন। ইয়াবা মুলত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং তা ককেইন এর চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী। প্রথমদিকে ইয়াবা যৌনউত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো।  কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। একসময় যা সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হতো কোনো কোনো দেশে।  ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ক্লান্তি দূর করতে ও সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। পরব

একজন মাহাথির মোহাম্মদ ও আধুনিক মালয়েশিয়া

এশিয়ার অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি এবং মুসলিম বিশ্বের বিবেক ডা. মাহাথির মোহাম্মদ ছিলেন তার দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল টানা পাঁচটি সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৩০ অক্টোবর, ২০০৩ -এ, তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 92 বছর বয়সে, দীর্ঘ পনের বছরের অবসরের পর, প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মাহাথির মোহাম্মদ রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পর ১০ মে  তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। জন্ম ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর এ্যালোর সেটররে একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার আগে যে তিনজন প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া শাসন করেছেন তারা সবাই সমাজের এলিট শ্রেনীর। তবে মাহাথির খুব সাধারণ ঘর থেকে এসেছেন। পিতামাতার ন

জিমেইল সুরক্ষিত রাখার উপায় । যেভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন

Gmail হল বিনামূল্যের মেলিং পরিষেবা, Google-এর একটি অ্যাপ৷ এটি মেইলিং জগতে সবচেয়ে সুরক্ষিত, দ্রুততম এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যাপ। এটি শুধুমাত্র মেল করার উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয় না বরং অন্যান্য অ্যাকাউন্ট যেমন পেপাল, পেটিএম, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য নিবন্ধন এবং আরও অনেক কিছুর সাথে সংযোগ করতেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আজ, অনেক কোম্পানি আপনাকে মেইল করে, যার মাধ্যমে তারা আপনার মেইল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস চেক করার অনুমতি পায়। শুধু কোম্পানিই নয় হ্যাকারও বাড়ছে। এই ১০টি উপায় অনুসরণ করে আপনার Gmail অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা আসলে সহজ। জিমেইল সুরক্ষিত রাখার উপায়। যেভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন  সার্ভারের দিক থেকে খুব নিরাপদ হলেও একটি Gmail অ্যাকাউন্টের আসল নিরাপত্তা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। আসুন জেনে নেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার উপায়গুলো। ১৷  টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন আপনার জিমেইল আইডি সুরক্ষিত রাখার প্রথম ধাপ হল টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করা। যদি এই সিস্টেমটি চালু থাকে, এমনকি কেউ আপনার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানলেও, ডিফল্ট ডিভাইসের মাধ্যম