আজ আমরা ব্যাকলিংক তৈরির কৌশল নিয়ে কথা বলব। ব্যাকলিংক তৈরির প্ল্যান শুরু হয় অন-পেজ এসইও কৌশল থেকে, যেটা আসলে লিংক বিল্ডিং এর অন্তর্ভূত।
আসুন কথা না বাড়িয়ে ব্যাকলিংক বানানোর সেরা কিছু কৌশল দেখা যাকঃ
সেরা লিংক বিল্ডিং কৌশলসমূহ
১. প্রাথমিক লেভেল লিংক বিল্ডিং কৌশল
১.১ রাউন্ড আপ পোস্ট লেখা
১.২ এক -থেকে-@এক ইন্টারভিউ পোস্ট লেখা
১.৩ পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা
১.৪ ইনফোগ্রাফিক্স বানানো
১.৫ গেস্ট ব্লগিং
২. মাধ্যমিক স্তরের লিংক বিল্ডিং কৌশল
২.১ লিংক বিনিময় করুন
২.২ হারানো লিংক পুনরুদ্ধার করা
২.৩ খারাপ পোস্ট থেকে লিংক সংগ্রহ করা
৩. উপসংহার
প্রাথমিক লেভেলের ব্যাকলিংক বিল্ডিং কৌশল
১. সুন্দর পোস্ট লেখা
যখন আপনি অন্য কোন ব্লগের আর্টিকেল এ আপনাকে মেনশন করা হয়েছে জানতে পারেন তখন আপনার কেমন বোধ হয়?
নিশ্চয় অনেক ভালো তাইনা?
আর এই আর্টিকেল দেখেই আপনার মন চায় এটাকে খুব ভালো পোস্ট বলে শেয়ার করতে।
কি? ঠিক বললাম তো?
আর এজন্যই ব্যাকলিংক এ আপনি বিভিন্ন অন্য সাইটকে বা সাইটের পোস্টকে মেনশন করতে পারেন যাতে পোস্টটি তাদের কাছেও সমাদৃত হয়।
এক্সপার্ট গ্রুপ এর কাছে এ বিষয়ে জানুন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার সহজ উপায় হলো গুগল।
"ব্লগ" যুক্ত যেকোনো শব্দ অনুসন্ধান করুন এবং ফলাফল দেখুন।
ফলাফল এর প্রথম অপশনগুলো আপনাকে সঠিক পথে চালিত করবে।
এক্সপার্ট দের এই বিষয়ে যুক্ত করার আগে, দেখে নিন কোন উপাদান গুলোর উপর বিশেষ নজর দেয়া উচিতঃ
১. কন্টেন্ট স্টাইল
২. পোস্ট এর আওতা
৩. অন্যদের পোস্টে দেখুন কত মানুষ বা সাইটকে এখানে মেনশন করা হয়েছে
এক জন মানুষের ইন্টারভিউ পোস্ট করা
এখানে অনেক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা না করে বিশেষ কোন মানুষকে ফোকাস করা হয় এবং তাদের সাথে ওয়ান টু ওয়ান আলোচনা করা হয়। আপনি ব্লগারসপ্যাশন এ এরকম ইন্টারভিউ পোস্ট দেখতে পারেন।
পরিসংখ্যান একত্রিত করুন
যখন আপনি কোন তথ্যভিত্তিক পোস্ট লিখবেন, তখন অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন সাইটকে তথ্যের জন্য লিংকে মেনশন করতে হবে। দেখুন কিভাবে তা করা হয়:
আপনি পোস্টে যত বেশি পরিসংখ্যান যুক্ত করবেন, ততই লিংক বেশি দেয়া সম্ভব হবে। আর এতে পোস্টের আওতা বাড়বে আর পোস্ট এর জনপ্রিয়তা ও শেয়ার বাড়বে।
ব্লগিং পরিসংখ্যান সম্বন্ধে জানতে পোস্টটি পড়তে পারেন।
পোস্ট তথ্যবহুল বানানো
আপনার পোস্ট আপনি চাইলেই পরিসংখ্যান থেকে তথ্যবহুল এ রুপান্তর করতে পারেন। এতে আপনি বেশি পরিমান লিংক বানানোর সুযোগ পাবেন।
কি কি টুল দরকার ইনফোগ্রাফিক্স বানাতে?
এখানে ইন্টারফেস একটু ভিন্নরকম হবে কিন্তু মূল ফিচারগুলো একইভাবে কাজ করে।
আপনার নিজের কেস স্টাডি পাবলিশ করুন
কেস স্টাডি পাবলিশ করলে শুধু আপনার নিজের বুদ্ধি বা পোস্টের সুনাম হয়না। বরং এখানে আপনার পোস্টের গতিশীলতা এবং নিজস্ব দক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এর মাধ্যমে চলমান ট্রেন্ড এর স্বপক্ষে যুক্তি বা বিপক্ষে সমালোচনা করা সম্ভব।
আপনার এই কাজের মাধ্যমে অন্য ব্লগ থেকেও আপনার পোস্টকে মেনশন করা হবে যা বেশ লাভজনক।
কেস স্টাডির জন্য ভালো টপিক খোজা
ভালো টপিক খুজতে আপনি চাইলে গুগল ট্রেন্ড অনুসরণ করতে পারেন। গুগলের অনুসন্ধান ইঞ্জিনের মতই এখানেও আপনি এ বিষয়ে খুজতে পারবেন নিজের ইচ্ছামতো।
এখানে রিলেটেড কুয়েরি এবং রিলেটেড টপিকস নামে দুইটি অপশন রয়েছে।
এখানে রিলেটেড কুয়েরি অনুসন্ধান করে আমি " সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি টেম্পলেট" পেয়েছি।
এখন চলুন এটা দিয়ে গুগলে অনুসন্ধান করে কি পাওয়া যায় দেখি:
আজকের মতো লিংক বিষয়ক পোস্ট এখানেই শেষ করছি। সামনের কোন পোস্টে এ সম্বন্ধে আপনাদের আরও অনেক কিছু জানাব। আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের হতাশ করবে না।
উপসংহার
লিংক বানানো শেখা ব্লগার বন্ধুদের জন্য সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ। এটা শিখতে পারলে আপনার পোস্ট গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় হতে বেশি সময় লাগবে না।
সঠিক লিংকের পোস্ট রচনা করতে পারলে আপনার সাইট যেমন জনপ্রিয় হবে, তেমনি সাইটের ভিউ, শেয়ার, ব্র্যান্ড উন্নয়ন এবং সর্বোপরি আপনার আয়ও বাড়তে থাকবে।
সুতরাং লিংক বানানোর ব্যাপারে সচেতন হোন। আপনার পোস্ট এ বেশি বেশি লিংক প্রোভাইড করুন এবং লিংক বানানোর জন্য আমার পোস্ট এর নির্দেশনা ভালোমতো অনুসরণ করুন।
যদি আমি কোন লিংক নির্দেশনা মিস করি, বা কোন জায়গায় ভুল বা কম লেখা হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
তবে আপনারা চাইলে এই পোস্ট পড়ে লিংক বানানো বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এবং আপনাকে আবারও সবসময় এর মতো বলছি, কমেন্ট সেকশনে আমাকে যেকোনো বিষয়ে জানাতে ভুলবেন না।
সবাইকে শুভকামনা জানাচ্ছি কারণ আপনারা লিংক বানানোর সঠিক নির্দেশনা আজকে পেয়ে গেলেন।
Comments
Post a Comment